শিক্ষামন্ত্রকের সাম্প্রতিক রিপোর্টে সিঁদুরে মেঘ বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে। সেই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে সরকারি, সরকার পোষিত এবং বেসরকারি মিলিয়ে একবছরে গোটা দেশে বন্ধ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার স্কুল! দেশে শিক্ষার এই হাল দেখেও টনক নড়েনি কেন্দ্রের মোদি সরকারের। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিরই করুণ অবস্থা। এক বছরে ঝাঁপ বন্ধ হওয়া ২০ হাজার স্কুলের মধ্যে সবার উপরে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, তারপর রয়েছে অসম, ওড়িশা, এমনকী গুজরাটের মতো রাজ্যগুলি। রয়েছে উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশও। অর্থাৎ মোদি-যোগী সব রাজ্যেই বেহাল অবস্থা স্কুলশিক্ষার।

কেন্দ্রের পরিসংখ্যানই বলছে, ২০২০-২১ আর্থিক বছরে দেশে স্কুলের সংখ্যা ছিল মোট ১৫ লক্ষ ৯ হাজার ১৩৬। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১৪ লক্ষ ৮৯ হাজার ১১৫টি। অর্থাৎ এক বছরে স্কুলের সংখ্যা কমেছে ২০ হাজার ২১টি। এর মধ্যে সরকারি স্কুলের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৬৩টি। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে দেশে সরকারি স্কুলের সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৩২ হাজার ৪৯টি। ২০২১-২২ আর্থিক বছরে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ লক্ষ ২২ হাজার ৩৮৬টি।

ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফর্মেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস ব্যবস্থার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক সংসদে এই সংক্রান্ত খতিয়ান পেশ করে। সেখানে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির সঙ্গীন অবস্থা প্রকট হয়ে ওঠে। স্কুল বন্ধের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে ডাবল ইঞ্জিন মধ্যপ্রদেশ। এক বছরে মধ্যপ্রদেশে সরকারি স্কুলের সংখ্যা কমেছে প্রায় সাড়ে ছ’হাজার। অসমে কমেছে ১২৫৯, ওড়িশায় ১১৮৪, গুজরাটে ২৬৮টি, উত্তরাখণ্ডে ১৬৭টি মহারাষ্ট্রে ৯৫ এবং উত্তরপ্রদেশে ৪৪টি। এই স্কুল বন্ধে শুধু রাজ্যের দোষ দিলে হবে না, কেন্দ্রও দায় এড়াতে পারে না। জাতীয় শিক্ষানীতি কেন্দ্রই তৈরি করে, রাজ্যগুলিকে অনুদান পাঠায়, কিন্তু তদারকি করে না কাজের। মিড ডে মিল, সর্বশিক্ষা মিশনের মতো একাধিক প্রকল্পে বহু রাজ্যই নিজেদের কোষাগার থেকে ভর্তুকি দেয়। কিন্তু প্রচারে সব কৃতিত্ব নেয় মোদি সরকার।

–


–

–

–

,-

–

–

–

–
_