মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছা, বাংলাদেশের জেল থেকে ঘরে ফিরছেন কাকদ্বীপের ৯৫ মৎস্যজীবী

মঙ্গলবার বাংলার মৎস্যজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা (fisherman representatives) বাংলাদেশ থেকে কাকদ্বীপের ৯৫ জন মৎস্যজীবীকে ভারতে ফেরানোর

রাজ্যের মানুষকে নিরাপত্তা দিতে রাজ্যের সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যে সবদিক থেকে সচেষ্ট তা প্রত্যক্ষ করলেন কাকদ্বীপের (Kakdwip) মৎস্যজীবী পরিবারগুলি। বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করায় ৯৫ ভারতীয় মৎস্যজীবীকে অক্টোবর থেকে জেলবন্দী রেখেছিল বাংলাদেশ (Bangladesh) প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দ্রুত তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে। অবশেষে বাংলাদেশের আদালতে ছাড়পত্র পেয়ে দ্রুত ঘরে ফিরতে চলেছেন সেই মৎস্যজীবীরা।

সাম্প্রতিক বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিবাদ বিতর্কের পরিস্থিতি তৈরি হলেও তা যাতে বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী বাংলার মানুষের ওপর বিরূপ প্রভাব না ফেলে তার জন্য প্রতিমুহূর্তে সজাগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অক্টোবর মাসে ভারতীয় ট্রলারে বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) মাছ ধরতে যাওয়া ছয়টি ট্রলার (troller) আটক করে বাংলাদেশ প্রশাসন। জলসীমা অতিক্রমের অভিযোগে বাগেরহাটে চারটি ট্রলারে থাকা ৬৪ মৎস্যজীবী এবং পটুয়াখালীতে দুটি ট্রলারে থাকা ৩১ জন মৎস্যজীবীকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশে তাদের জেলে ভরে দেওয়া হয়।

রাজ্যের মৎস্যজীবীদের কঠিন সময়ে দ্রুত প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া শুরুর জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা চালান রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তারা। সেই মতো ডিসেম্বরে ভারতে আটক হওয়া বাংলাদেশের ৯০ মৎস্যজীবীকে হস্তান্তরের (hand over) প্রতিশ্রুতি দেয় ভারত। সেই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের আদালতেও ভারতীয় মৎস্যজীবীদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আদালতের (Bangladesh court) রায়ে নির্দোষ ঘোষণা করা হয় ৯৫ মৎস্যজীবীকে।

মঙ্গলবার বাংলার মৎস্যজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা (fisherman representatives) বাংলাদেশ থেকে কাকদ্বীপের ৯৫ জন মৎস্যজীবীকে ভারতে ফেরানোর কাগজপত্রের কাজ শেষ করবেন। এরপরেই কোন একটি নির্দিষ্ট জায়গা বেছে নিয়ে দুই দেশের বন্দী মৎস্যজীবীদের পরস্পরের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া হবে। আপাতত সেই দিনের অপেক্ষায় কাকদ্বীপের মৎস্যজীবী পরিবারগুলি।