ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ড কেরালার নার্সের, ঘরে ফেরাতে উদ্যোগ বিদেশ মন্ত্রকের

১১ বছর আগে মেয়ের সঙ্গে শেষ বার দেখা হয়েছিল নিমিশার (Nimisha) মা প্রেমা কুমারীর। এবার ফাঁসির সাজা ঘোষণা হওয়ার পর মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে যান প্রেমা

খুনের দায় ৭ বছর জেল খেটেছেন। এরপরেও জেল মুক্তি হয়নি। দেশ থেকে কয়েকশো মাইল দূরে বিদেশের মাটিতে এবার তাঁকে ফাঁসি বরণ করতে হবে। আর কয়েকশো বাইল দূরে কেরালায় (Kerala) তাঁর বাড়িতে বসে তাঁর বাবা মা তার মৃত্যুর অপেক্ষা করবেন। এই ভবিতব্যকে বদলে ফেলার জন্য এবার ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের দ্বারস্থ ইয়েমেনে (Yemen) বন্দি নিমিশা প্রিয়ার পরিবার। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

আর্থিকভাবে নিজের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ইয়েমেনে (Yemen) গিয়ে নার্সের চাকরি শুরু করেন কেরালার নিমিষা। ২০০৮ সাল থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে চাকরি করার পর নিজেই সেখানে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত নেন। এক সহযোগীর সঙ্গে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িতও করেন। তবে কয়েক বছর পরে সেই সহযোগীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন নিমিশা (Nimisha Priya)। সহযোগী তালাল আব্দো মেহদি এরপরই নিমিষর ভারতে ফেরা আটকানোর চেষ্টা করেন। ২০১৭ সালে নিজের পাসপোর্ট মেহেদির থেকে ছিনিয়ে আনতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। নিমিশার ইনজেকশনে প্রাণ যায় মেহেদির।

এরপরই মেহেদির পরিবার নিমিশার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে। সেই থেকে ইয়েমেনের (Yemen) জেলে বন্দি সে। ১১ বছর আগে মেয়ের সঙ্গে শেষ বার দেখা হয়েছিল নিমিশার (Nimisha) মা প্রেমা কুমারীর। এবার ফাঁসির সাজা ঘোষণা হওয়ার পর মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে যান প্রেমা। সানায় জেলবন্দি মেয়ের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। কিন্তু তিনি তখনও জানেন না মেয়েকে এটাই তার শেষবার দেখা কিনা।

যদিও সানার জেলে নিমিশা মাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন সব ঠিক হয়ে যাবে। সেই মতো নিমিশার পরিবার যোগাযোগ করে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে। পরিবারের দাবি নিজের পাসপোর্ট উদ্ধার করার জন্যই মেহেদিকে আক্রমণ করতে বাধ্য হয়েছিল নিমিশা। বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ইয়েমেন প্রশাসনের যোগাযোগ করে তার সাজা কমানোর আবেদন জানানো হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।