এবারের লোকসভা নির্বাচনে সংসদের অন্দরে পৌঁছেছেন সবচেয়ে বেশি সংখ‌্যক মহিলা

তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসাবে বরাবরই প্রমীলা প্রার্থীদের সামনের সারিতে আনার জন‌্য গুরুত্ব দেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রতিফলন দেখা যায় ভোটবাক্সেও।

নির্বাচন কমিশনের  পরিসংখ‌্যান অনুযায়ী, এ বছর নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ছিল ৯৭ কোটি ৯৭ লক্ষ। ২০১৯ সালের চেয়ে যা ৭.৪৩ শতাংশ বেশি। আগের লোকসভা নির্বাচনের সময় নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ছিল ৯১ কোটি ১৯ লক্ষ। চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেন ৬৪ কোটি ৬৪ লক্ষ ভোটার। সেখানে ২০১৯ সালে ভোট দিয়েছিলেন ৬১ কোটি ৪০ লক্ষ ভোটার। ২০২৪ সালে ইভিএমে ভোট দিয়েছিলেন ৬৪ কোটি ২১ লক্ষ ভোটার। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩২ কোটি ৯৩ লক্ষ। মহিলা ভোটার ৩১ কোটি ২৭ লক্ষ। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছিলেন ১৩ হাজার ৫৮ জন। ৪২ লক্ষ ৮১ হাজার জন ব্যালটে ভোট দেন।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ১২ হাজার ৪৫৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। মনোনয়ন প্রত্যাহার ও বাতিলের পর সেই সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৩৬০ জন। ২০১৯ সালে ১১ হাজার ৬৯২ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। মনোনয়ন প্রত্যাহার ও বাতিলের পর সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৮ হাজার ৫৪ জনে।এবছর সবচেয়ে বেশি প্রার্থীর। মনোনয়ন জমা পড়ে তেলঙ্গানার মালকাজগিরিতে। এই কেন্দ্রে ১১৪ জন মনোনয়ন জমা দেন। এর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সাংসদের সংখ‌্যা ১১ জন, শতাংশের হিসাবে যা ৩৮ শতাংশ। যেখানে বিজেপির মহিলা সাংসদের হিসাব ছিল মাতক্র ১২ শতাংশ।

উল্লেখ‌্য, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসাবে বরাবরই প্রমীলা প্রার্থীদের সামনের সারিতে আনার জন‌্য গুরুত্ব দেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রতিফলন দেখা যায় ভোটবাক্সেও। অসমের ধুবরি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল সবচেয়ে বেশি। ভোটের হার সবচেয়ে কম ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে। এই কেন্দ্রে ৩৮.৭ শতাংশ ভোট পড়ে। পাঁচ বছর আগে এই শ্রীনগর কেন্দ্রেই ভোট পড়েছিল মাত্র ১৪.৪ শতাংশ। ৫০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে দেশের ১১টি লোকসভা কেন্দ্রে। কোনও প্রার্থীকেই পছন্দ হয়নি এই অভিমত জানিয়ে ‘নোটা’-য় ভোট পড়েছে ৬৩ লক্ষ ৭১ হাজার।