তোমাদের চৈতন্য হোক – প্রার্থনা করেছিলেন ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। চৈতন্য হয়েছে বা হয়নি তার পরীক্ষা আজও মানুষ দিয়ে চলেছে। একদিকে যেমন সমাজ, বিজ্ঞানের প্রভূত উন্নয়নের পথে মানব জাতি। তেমনি তার ভিতর দিয়ে কোথাও অবক্ষয়ের চোরাশ্রুত বয়ে চলেছে। নারী সমাজের প্রতি অবমাননা অশালীন আচরণ সেই অবক্ষয়কে তুলে ধরেছে। বছরের প্রথম দিন সেই অবক্ষয় থেকে বেরিয়ে আসার প্রার্থনা নিয়ে সমাজের চৈতন্য হওয়ার আশায় লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমালেন কল্পতরু উৎসবে (Kalpataru festival)।

১৮৮৬ সালের পয়লা জানুয়ারি (1 January) কল্পতরু রূপে ভক্তদের আশীর্বাদ করেছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব। প্রতি বছরের মতো এই দিনটিতে রামকৃষ্ণদেবকে স্মরণ করতে ভোর থেকেই দক্ষিণেশ্বর (Dakshineswar), বেলুড় মঠ (Belur Math), কাশীপুর (Kashipur) উদ্যানবাটিতে মানুষের ঢল। দক্ষিণেশ্বরের (Dakshineswar) ভবতারিণী মন্দিরে সকাল থেকে পুণ্যার্থীরা লাইন দিয়ে পুজোর ডালা নিয়ে অপেক্ষায়। তারই পাশাপাশি কাঁসর, ঘণ্টা, মন্ত্রপাঠে রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন জায়গায় পালিত হচ্ছে কল্পতরু দিবস।

একই রকম উৎসাহ কাশিপুর উদ্যানবাটি থেকে বেলুড় মঠে। নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় কাশিপুর উদ্যানবাটিতে।

–

–

–

–

–

–

–

–