রক্ষকই ভক্ষক হওয়ার উদাহরণ কম নেই। তবে পুলিশকর্মী উর্দি পরে খুন করে ফেলেছেন, এরকম নজির বিরল। হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) পুলিশের হাতে নতুন বছরের প্রথম রাতে এভাবেই খুন হলেন এক তরতাজা যুবক। বেশি রাতে রেস্টুরেন্টে ঢুকে খাবার ও মদ চেয়ে না পাওয়ায় হোটেল ম্যানেজারকে (manager) ধাক্কা মেরে খুন করে ফেললেন দুই কনস্টেবল (police constable)। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের জেরে অভিযুক্ত দুই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করে হিমাচল প্রদেশ প্রশাসন।

নতুন বছরের প্রথম রাতে ডালহৌসির (Dalhousie) বানিখেত এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে ঢোকেন দুই পুলিশ কনস্টেবল। ডিউটি শেষ করে পুলিশরে উর্দিতেই তারা হোটেলের রিসেপশনিস্ট (receptionist) শচিন নামে এক যুবকের কাছে খাবার ও মদ দাবি করে। ঘড়িতে তখন রাত দেড়টা। অত রাতে কর্মীর সংখ্যা কম থাকায় রিসেপশনিস্ট তাঁদের জানান ওই সময়ে খাবার বা মদ কোনওটাই পাওয়া যাবে না। ফলে শচিনের সঙ্গে দুই পুলিশকর্মীর বচসা শুরু হয়।

বচসা থামাতে সামনে আসেন রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার (manager) রাজেন্দর মালহোত্রা। তিনি দুই কনস্টেবলকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তখনই অনুপ ও অমিত নামে দুই কনস্টেবল (constable) রাজেন্দরকে পার্কিং এলাকার পাঁচিলের ধার থেকে ধাক্কা মারে। এমনকি শচিনকেও ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রাজিন্দরের। ২০ ফুট গভীরে পড়ে গুরুতর আহত হয় শচীনও। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা ওই দুই পুলিশ কর্মীর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।

ঘটনায় সিসিটিভই ফুটেজ দেখিয়ে হোটেলের অন্যান্য কর্মী ও স্থানীয়রা পুলিশে অভিযোগ জানায়। যদিও তারপরেও পুলিশ পদক্ষেপ না নেওয়ায় জাতীয় সড়ক বন্ধ করে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান। পরে বাধ্য হয়ে অনুপ ও অমিতকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের সাসপেনশন্ডও করে হিমাচল পুলিশ।

–

–

–

–

–

–
