আন্দোলনকারী শিল্পীদের বয়কটের কথা বলেননি। যে সব শিল্পী কুৎসা করেছেন, আন্দোলনের নামে অশ্রাব্য ভাষায় তৃণমূল সভানেত্রী ও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন, তাঁদের তৃণমূল আয়োজিত মঞ্চে আমন্ত্রণ না জানানোর কথা বলেছেন। শুক্রবার, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নিজের অবস্থানে অনড় থেকে জানালেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। একই সঙ্গে তিনি জানান, আর জি কর-কাণ্ডের সময় চোখের অস্ত্রোপচারের কারণে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বাইরে ছিলেন। সেই কারণে তাঁর বুঝতে ভুল হয়েছে। অভিষেক ডাকলে তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে দেবেন বলেও জানান কুণাল।
আরও খবর: আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ- খুনে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি CBI-র

আর জি কর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের অনুষ্ঠান নিয়ে বৃহস্পতিবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি জানান, কারও উপর কোনও সিদ্ধান্ত তিনি চাপিয়ে দিতে চান না। এদিন এ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জানান, যাঁরা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরা যেটা করতেই পারেন, এটা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার। বাংলায় এই বিষয়ে কেউ নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয়নি। কোনও শিল্পীকে বয়কটের কথাও বলেননি কুণাল। কিন্তু আন্দোলনের নামে যেসব শিল্পী কুৎসা করেছেন, অশালীন ভাষা প্রয়োগ করেছেন, “চটি চাটা”, “গালে গালে জুতো মারো তালে তালে“ বলেছেন, বলেছেন “নবান্নের ছাদ থেকে হেলিকপ্টারে করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পালিয়ে যাবেন“, তাঁদের তৃণমূল আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডাকা যাবে না। কারণ, এতে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের আবেগে আঘাত লাগবে। এই প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিয়ে কুণাল বলেন, ”প্রতিবাদী আর প্রতিবাদের নামে অসভ্যতা এক করে দেখানো হচ্ছে। প্রতিবাদের অধিকার সবার আছে। বাদশা মৈত্র সিপিএমের অভিনেতা। তিনি তো চরম বিরোধিতা করেছেন। তাঁর ক্ষেত্রে তো আপত্তি নেই। যাঁরা প্রতিবাদ করেছেন নিশ্চয়ই প্রতিবাদ করবেন। মুখ্যমন্ত্রীও প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু প্রতিবাদের নামে যাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে গালাগালি করেছেন, কখনও অমুকের গালে গালে জুতো মারো তালে তালে বলেছেন- এই কয়েকজনকে বলেছি তৃণমূল পরিচালিত অনুষ্ঠানে ডাকা যাবে না।” এই অবস্থানে তিনি অনড় বলে জানান কুণাল। একই সঙ্গে তিনি বলেন, সংগঠনের বিভিন্ন গ্রুপে এই বিষয়ে সার্কুলার জারি হয়েছে।

এর পরেই কুণাল (Kunal Ghosh) বলেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁর সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভুল বুঝেছেন। কারণ, আর জি কর আন্দোলনের সময় চোখের অস্ত্রোপচারের কারণে তাঁকে বাইরে থাকতে হয়েছিল। তিনি বিষয়টির মধ্যে ছিলেন না। সেই কারণে অভিষেক যদি তাঁকে ডেকে জানতে চান, তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে দেবেন বলে জানান কুণাল ঘোষ। একই সঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের সংযোজন, ওই সময়ে (আর জি কর আন্দোলন) ঝড়-ঝাপটা সহ্য করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন তাঁরাও। সেই কারণে তৃণমূল সুপ্রিমো কোনও নির্দেশ দিলে তিনি মাথা পেতে নেবেন।

–

–

–

–

–

–

–
