ভুল করে জলসীমা পেরিয়ে দেশের অনেক মৎস্যজীবী প্রতিবেশী বাংলাদেশ বা শ্রীলঙ্কায় আটকে পড়েন। তামিলনাড়ুর কয়েকশো মৎস্যজীবী শ্রীলঙ্কায় আটকে থাকার পরিসংখ্যান পেশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন (M K Stalin)। এবার সেরকমই দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছিল কাকদ্বীপের ৯৫ জন মৎস্যজীবী (fishermen)। ভারতের জলসীমা অতিক্রম করায় বাংলাদেশ নৌ সেনা তাদের আটক করেছিল। এই খবর পেয়েই দ্রুত তাঁদের ঘরে ফেরাতে উদ্যোগী হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তার উদ্যোগে তিন মাসের মধ্যেই আইনি ও আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে রবিবার ভারতের প্রবেশ করলেন কাকদ্বীপের ৯৫ জন মৎস্যজীবী। মাঝ সমুদ্রে (IMBL) হল হস্তান্তর।

এক অভূতপূর্ব হস্তান্তরে রবিবার ভারত ও বাংলাদেশের জেলে আটকে থাকা মৎস্যজীবীদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়া হয় বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal)। বাংলাদেশ নৌবাহিনী তাঁদের জাহাজে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের নিয়ে আসে আন্তর্জাতিক জলসীমায় (IMBL)। সেখান থেকে হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ভারতীয় কোস্ট গার্ডের (Indian Coast Guard) ভরদ (Varad) এবং অমৃত কৌর (Amrit Kaur) জাহাজে রবিবারই সেই জলসীমা থেকে ভারতের পথে রওনা দেন ৯৫ মৎস্যজীবী। মুক্ত করা হয় তাঁদের চারটি ট্রলার।

বাংলাদেশের সঙ্গে হস্তান্তরের চুক্তি অনুযায়ী ভারতের জেলে বন্দী ৯০ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী ও কৌশিক ট্রলারে ডুবতে বসা ১২ বাংলাদেশী মৎস্যজীবীকেও এই হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। একইভাবে ভারতের জাহাজ থেকে তাঁরা বাংলাদেশের জাহাজে উঠে নিজেদের দেশে পাড়ি দেন। সোমবার ভোরে কাকদ্বীপের ৯৫ মৎস্যজীবী পৌঁছাবেন কাকদ্বীপে (Kakdwip)। তাঁদের স্বাগত জানাবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

–


–

–

–

–

–
