সাত ঘণ্টাও কাজ করবেন না! নয়া ‘আবদার’ জানিয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরর্স-এর

দৈনিক ৭ ঘণ্টা কাজ করতে চান না ‘বিদ্রোহী’ ডাক্তাররা। মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখে নতুন আবদার জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরর্স-এর। অর্থাৎ দেশ এবং রাজ্যের সরকারি কর্মীরা দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য হলেও জয়েন্ট ফোরামের চিকিৎসকরা তাতে নারাজ। যদিও এঁদের সংখ্যা নেহাতই নগণ্য। অধিকাংশ চিকিৎসক অবশ্য সরকারি নির্দেশিকাকে স্বাগতই জানিয়েছেন। ফোরামের দাবি, এটা নাকি প্রতিহিংসা। তাঁদের আরও কম সময় ডিউটির জন্য বরাদ্দ না করলে তাঁরা নৈরাজ্যের বাঁশি বাজাবেন! অর্থাৎ তাঁদের আগের আন্দোলন যে নৈরাজ্য তৈরির জন্যেই হয়েছিল, তা নিজেদের বক্তব্যেই পরিষ্কার করে দিয়েছেন।

মুখ্যসচিবকে লেখা ওই চিঠিতে চিকিৎসকেরা বলছেন, ‘হঠাৎ চলে এসেছে ১২ ঘণ্টা ডিউটির নিদান।’ প্রশ্ন, চিকিৎসকেরা কী শ্রম আইনের বাইরে? সমস্যা হচ্ছে, নিজেদের বক্তব্যে নিজেরাই ফাঁপরে পড়েছেন ফোরামের কতিপয় চিকিৎসক। শ্রম আইনের প্রশ্ন উঠলে যে কোনও সরকারি কর্মী দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য। তাহলে? চিকিৎসকেরা কি অন্য গ্রহের প্রাণী। তাঁদের ক্ষেত্রে শ্রম আইন কেন খাটবে না! চিকিৎসকদের হাসপাতালের ক্যাম্পাসে থাকতে বলা হয়েছে। যেহেতু চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে মানুষের জীবন-মৃত্যুর ঘটনা জড়িয়ে থাকে, স্বাভাবিকভাবেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে দ্রুত মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসা করা যায়। এই নির্দেশও মানতে নারাজ তাঁরা। এখানেই শেষ নয়, চিকিৎসকদের দাবি, হাসপাতালের অধিকাংশ কাজটাই তাঁরা করেন। কারণ, নার্স, সাপোর্ট স্টাফ কিংবা প্যারামেডিক্যাল কর্মী কার্যত নেই। ছত্রে ছত্রে তাঁরা শুধু কর্মিসংখ্যা বাড়ানোর কথা বলেছেন। কোথায় কত পদ খালি, সারাক্ষণ সেই পরিসংখ্যান দিতে চেয়েছেন। নিজেরাই লিখছেন, ‘আপনি আচরি ধর্ম’। অথচ নিজেরাই লিখছেন অন্য কথা। কোথাও তাঁরা বলছেন না, হ্যাঁ, আমরা ৮ ঘণ্টাই ডিউটি করব। কিন্তু এই দাবিগুলো পূরণ করা হোক। কিন্তু ওঁরা ৭ ঘণ্টাও কাজ করতে চান না। কারণ? প্রশ্নগুলো সহজ আর উত্তরও জানা। হাতছানির নাম প্রাইভেট প্র্যাকটিস।

আরও পড়ুন- আদালতে চার্জগঠন শিক্ষক নিয়োগ মামলার, ‘কাল্পনিক’ অভিযোগ দাবি পার্থর

_

_

_

_

_

_

_

_

_