দাবানলের আগুনে পুড়ছে মার্কিন মুলুকের লস অ্যাঞ্জেলস। দাবানল শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মাত্র ১০ একর থেকে বেড়ে ২ হাজার ৯০০ একর জায়গাজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।এখনও পর্যন্ত ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং প্রায় ১৩ হাজার বাড়ি দাবানলের আগুনে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

জানা গিয়েছে, দাবানলের কারণে ৪৬ হাজারের বেশি বাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি প্রতিবেশী সান বার্নার্ডিনোতে আরও ৮ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন।দাবানল নিয়ন্ত্রণে লস অ্যাঞ্জেলস ফায়ার ডিপার্টমেন্ট (এলএএফডি) আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ২৫০ জন দমকলকর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। তবে এই বিপর্যয় মোকাবিলায় তাদের আরও জনবলের প্রয়োজন। এলএএফডি একটি জরুরি নোটিশ জারি করে সব অফ-ডিউটি কর্মীদের দ্রুত প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করার নির্দেশ দিয়েছে।এই পরিস্থিতিতেও কোনও হতাহতের খবর নেই। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে প্রশাসন। ওই প্রদেশের অগ্নি বিষয়ক প্রধান ক্রিস্টিন ক্রাউলে বলছেন, এই বিষয়টা আমাদের স্বস্তি দিচ্ছে যে কেউ হতাহত হননি।
প্যাসিফিক প্যালিসেডস এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ি আগুনে পুড়ে গিয়েছে।সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বাসিন্দারা দ্রুত আগুন থেকে রক্ষা পেতে গাড়ি ফেলে পালিয়ে যাচ্ছেন।লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টি ফায়ার চিফ অ্যান্থনি ম্যারোন বলেন, ‘প্যাসিফিক প্যালিসেডস এখনও বিপদমুক্ত নয়।’দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণ হিসেবে তিনি ৫০ মাইল প্রতি ঘণ্টার (৮০ কিমি/ঘণ্টা) বাতাস ও চরম শুষ্ক পরিবেশকে দায়ী করেন।সারা ক্যালিফোর্নিয়ায় রেড ফ্ল্যাগ ওয়ার্নিং জারি করা হয়েছে, যা চরম দাবানলের সময় জারি করা হয়।।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে, তীব্র বাতাস এবং চরম শুষ্ক পরিবেশের কারণে আগুন আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। সবাইকে নিরাপদে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। বহু মানুষকেই পায়ে হেঁটেই এলাকা ছেড়ে পালাতে দেখা গিয়েছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আকাশ থেকে বিমানে সমুদ্রের জল ছিটিয়ে আগুনের শিখা নেভানোর চেষ্টা করছেন দমকল কর্মীরা। বুলডোজারের সাহায্যে পরিত্যক্ত গাড়িগুলিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

–

–

–

–

–

–
