Wednesday, August 20, 2025

স্বামীজির জন্মদিবস পালিত দেশজুড়ে: যুব সমাজের উন্নয়নে দেশের সেরা বাংলা

Date:

বাঙলার মনীষীরাই বাংলার উন্নয়নের অনুপ্রেরণা। রবিবার রাজ্য জুড়ে পালিত হল স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী। স্বামীজি দেশের স্বার্থে যুব সম্প্রদায়ের উন্নতির বার্তা দিয়েছিলেন সবথেকে বেশি। তাঁর সেই দিশাকেই পাথেয় করে বাংলার যুব সম্প্রদায়ের উন্নয়নে একের পর এক প্রকল্প নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর বাংলার সেই সব প্রকল্প শুধুমাত্র ভারতে নয়, বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলার নতুন প্রজন্মের জন্য মুখ্যমন্ত্রী আটটি এমন প্রকল্প চালু করেছেন, যা প্রমাণ করে বাংলাই যুব সম্প্রদায়ের উন্নয়নে সর্বশ্রেষ্ঠ।

ছাত্র ও যুবদের মানোন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে ঐক্যশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ, মেধাশ্রী, সবুজসাথী, যুবশ্রী, অ্যাপ্রেন্টিস স্কিম চালু করেছেন। যুব সমাজকে এগিয়ে যাওয়ার দিশা দেখিয়েছেন। কন্যাশ্রী প্রকল্পে আর্থিক চিন্তা ছাড়াই ছাত্রীরা তাদের শিক্ষা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে। ঐক্যশ্রী আবার বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের জন্য আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। আবার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে (students credit card) স্বল্প সুদে ঋণ মিলছে উচ্চশিক্ষার জন্য। অনেক ছাত্রছাত্রীর শিক্ষার পথ মসৃণ করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্প। স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপেও পড়ুয়াদের আর্থিক বোঝা কমিয়ে শিক্ষাগ্রহণে উৎসাহিত করেছে তাদের।

আবার মেধাশ্রী (Medhasree) প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সীমাবদ্ধতার বোঝা ছাড়াই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছে শিক্ষার্থীরা। সবুজসাথী (Sabujsathee) প্রকল্পে বিনামূল্যে সাইকেল পাচ্ছে, তার ফলে স্কুলে যাতায়াত অনেক সহজ হয়েছে পড়ুয়াদের। যুবশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি মাসে দেড় হাজার টাকা পাচ্ছে যুবরা। তার ফলে চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে সহায়তা দিচ্ছে তাদের। আর অ্যাপ্রেন্টিস স্কিমে (apprentice scheme) মূল্যবান প্রশিক্ষণের সহায়তা মিলছে। তা শিক্ষানবিশ হিসেবে যুব সমাজকে কর্মে উন্নীত করছে।

কন্যাশ্রী (Kanyashree) ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রসংঘের কাছ থেকে বিশ্ব-সম্মান ছিনিয়ে এনেছে। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প উৎকর্ষ বাংলা ও সবুজসাথী বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলার সরকারের একের পর এক প্রকল্প রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। এটি প্রশাসনিক সাফল্যের নিরিখে সর্বোচ্চ সম্মান। তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অন্যতম বড় সাফল্য।

Related articles

শিয়ালদহে ফিল্মি ড্রামা! কাঞ্চনার ‘রণচণ্ডী’ রূপে চমকাল যাত্রীরা

সকালের ব্যস্ত শিয়ালদহ স্টেশন হঠাৎ যেন সিনেমার সেট! নিত্যযাত্রীদের ভিড়ের মধ্যেই হাজির টলিপাড়ার পরিচিত মুখ কাঞ্চনা মৈত্র। গায়ে...

পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে কেন্দ্রকে চিঠি রাজ্যপালের, পাল্টা দাবি তৃণমূলের

রাজ্যের প্রায় ২১ লক্ষাধিক পরিযায়ী শ্রমিকের দুর্দশা নিয়ে কেন্দ্রকে সরাসরি চিঠি দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজভবন...

সুন্দরবনে বাড়ল কুমিরের সংখ্যা

সুন্দরবনে বাড়ল নোনা জলের কুমিরের সংখ্যা। বন দফতরের সর্বশেষ সমীক্ষা অনুযায়ী এখন এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ২৪২-এ। এর...

খড়্গপুর স্টেশনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লোহার বিমে চাপা পড়ে প্রাণ গেল ৮ বছরের শিশুর

খড়্গপুর রেলস্টেশমে মর্মান্তিক ঘটনা। লোহার বিম পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল আট বছরের এক শিশুর। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর রেলস্টেশনের...
Exit mobile version