সদ্য যৌবনা জিনাত এসেছিল প্রেমিকের খোঁজে। ওড়িশার (Odisha) জঙ্গলের প্রেমিকদের তার নাপসন্দ ছিল। কিন্তু বাংলায় সঙ্গী খুঁজে না পেয়েই বন দফতরের তত্ত্বাবধানে তাকে ফিরে যেতে হয়েছে ওড়িশাতে। কিন্তু জিনাতের (Zeenat) অপেক্ষা ব্যর্থ হয়নি। জিনাতের প্রবল টানেই ভিন রাজ্য থেকে ফের পুরুষ বাঘ এসেছে বাংলায়। বন দফতরের আধিকারিকদের দাবি, যেহেতু জিনাতকে খুঁজতে এসেছে পুরুষ বাঘটি, তাই তাকে বাগে আনা তাঁদের পক্ষে সহজ হবে।

ওড়িশা থেকে ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) পেরিয়ে বাংলার চার জেলা জুড়ে প্রায় দশদিন ধরে ভয় ধরিয়েছিল জিনাত (Zeenat)। তার গতিবিধি দেখে বন দফতরের আধিকারিকরা দাবি করেছিলেন সদ্য যৌবনা বাঘিনী পুরুষ সঙ্গীর খোঁজে ঘুরে বেড়াচ্ছে বাঘ-বিহীন বাংলার জঙ্গলমহলে। শিমলিপালের (Simlipal) জঙ্গলের পুরোনো বাঘদের তার পছন্দ ছিল না। যদিও বন দফতরের তৎপরতায় তাকে হতাশ হয়েই ফিরতে হয়েছিল।

পনেরো দিনের মধ্যে সেই জঙ্গলেই হাজির এক পুরুষ বাঘ (male tiger)। ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয় কারণ খোঁজা। পুরুষ বাঘটির কোনও রেডিও কলার না থাকায় তার অবস্থান বোঝা মুশকিল হয় বন দফতরের আধিকারিকদের। এরপরই এই বাঘের এক চাঞ্চল্যকর বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করেন আধিকারিকরা। জিনাতের (Zeenat) ঘুরে যাওয়া এলাকাগুলিতেই যাচ্ছে এই পুরুষ বাঘ। আর এই প্যাটার্ন (pattern) লক্ষ্য করার পরই বন দফতর জানাচ্ছে এই বাঘকে ধরা কিছুটা সহজ হয়েছে তাদের জন্য। আনুমানিক গতিবিধি বুঝে সেখানেই ফাঁদ পাতা হচ্ছে বাঘ ধরার জন্য।

ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি থেকে পুরুলিয়ার (Purulia) দিকে রওনা দেয় অপরিচিত এই বাঘ। বুধবার সকাল থেকে পুরুলিয়ার রাইকা পাহাড় এলাকায় খাঁচা পাতা হয়। ইতিমধ্যে ৬০টির বেশি ট্রাপ ক্যামেরা (trap camera) পাতা হয়েছে। টোপ (bait) হিসাবে ব্যবহার করা বেশ কিছু ছাগল অর্ধেক খেয়েছে বাঘ। মানবাজারের নেকড়া এলাকার গ্রামগুলিকে ঘিরে ফেলার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে প্রচুর জাল। খুব দ্রুত জিনাতের প্রেমিক বাঘকে ধরে পুরুলিয়ার বাসিন্দাদের ভয়মুক্ত করতে সক্ষম হবেন বলে মনে করেন গ্রামবাসীরা। তবে এই বাঘের আগমনে একটি আশঙ্কা সত্যি হল বন দফতরের আধিকারিকদের। জিনাতের আসার পরে এই পথে বাংলার জঙ্গলমহলে হলুদ ডোরাকাটার আনাগোনা বাড়বে বলে যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল তা সত্যি হওয়ায় বাসিন্দাদের জন্য বিপদ বাড়ল।

–

–

–

–
–

–

–