বিশ্বজুড়ে বাড়ছে পরিবেশ দূষণ। অপ্রত্যাশিতভাবে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে প্রকৃতিতে। নষ্ট হচ্ছে বাস্তু ভারসাম্য। এইসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ক্রমাগত মানুষকে পরিবেশ সচেতন করার চেষ্টায় লাদাখ জুড়ে একের পর এক কর্মসূচি করেছেন বিশিষ্ট জলবায়ু আন্দোলনকারী সোনম ওয়াংচুক (Sonam Wangchuk)। বৃহস্পতির (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কলকাতায় এসে তিনি জানালেন বাংলায় পরিবেশ রক্ষায় যেভাবে কাজ হচ্ছে তা প্রশংসনীয়। শুধু তাই নয় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁর অনুরোধ, শুধু এই প্রজন্ম নয় আগামী প্রজন্মকেও এই বিষয়ে পথ দেখাক বাংলা। পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে গাছ কাটার বিরুদ্ধে আইন বলবৎ করা হয়েছে সেটা যেন দেশ-বিদেশের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে এমনটাই আশা প্রকাশ সোনমের।

বৃহস্পতিবার কলেজ স্ট্রিটের মহাবধি সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ায় ‘WB FOLFON’ এর উদ্যোগে আয়োজিত একটি আলোচনা চক্রে অংশ নেন সোনম ওয়াংচুক। এই অনুষ্ঠানের মূল বিষয় ছিল ‘সেভ লাদাখ সেভ হিমালয় সেভ নেচার’। কী ভাবে অত্যাধুনিক গাড়ির ব্যবহারে কার্বন নিঃসরণ এয়ার পলিউশনের মাত্রা বাড়াচ্ছে তা সকলের সামনে ব্যাখ্যা করেন। যেভাবে গ্লেসিয়ার ভাঙতে শুরু করেছে, তাতে এখন ই সতর্ক না হলে আগামীতে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে বলেও এদিন সতর্ক করেন তিনি। শুধু সরকার বা প্রশাসন নয়, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষ যদি সচেতন না হন তাহলে ধ্বংসের হাত থেকে আমাদের চারপাশকে আটকানো সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন। তাঁর কথায় সংসদে প্রকৃতির প্রতিনিধি হিসেবে আইনজীবী বা বিশিষ্টদের রাখা প্রয়োজন। তবেই পরিবেশগত সমস্যা সম্পর্কে গোটা দেশ এবং জনজাতিকে বার্তা দেওয়া সম্ভব হবে।
বাস্তবের ‘র্যাঞ্চো’ গত বছর লাদাখ সংক্রান্ত একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে অনশনে বসেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতাভুক্ত করে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া প্রয়োজন। লাদাখের জন্য একটি পৃথক পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন করা এবং সেই সঙ্গে লেহ এবং কার্গিল জেলার জন্য পৃথক পৃথক লোকসভা আসনের বন্দোবস্ত করার কথাও বলেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার কি কোনও সদর্থক পদক্ষেপ করেছে? সোনম জানান, বিগত পাঁচ বছর ধরে এই ইস্যু নিয়ে তিনি বারবার সরব হয়েছেন। কথাবার্তা চলছে। কেন্দ্রের আশ্বাস ‘ফাঁকা বুলি’ কিনা আগামী এক দেড় মাসের মধ্যে সেই ছবিটা অনেকটাই স্পষ্ট হবে।

–

–

–

–

–

–

–

–

–
