গাজায় ১৫ মাস ধরে চলা নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইজরায়েল ও হামাস। বুধবার যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে দুই পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছয় বলে জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক আধিকারিক। এই চুক্তির আওতায় গাজায় সংঘাত বন্ধের পাশাপাশি উপত্যকাটিতে হামাসের হাতে বন্দি পণবন্দিদের মুক্তির পথও খুলবে।

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে আগামী রবিবার ,১৯ জানুয়ারি থেকে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই চুক্তি গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করবে, প্যালেস্টাইনের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য জরুরি মানবিক সাহায্য বাড়াবে এবং ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্দি থাকার পর পণবন্দিদের সঙ্গে তাদের পরিবারের পুনর্মিলন ঘটাবে।’
বাইডেন আরও বলেছেন, ‘এই পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট রূপরেখা আমি ২০২৪ সালের ৩১ মে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তুলে ধরে ছিলাম। উপস্থাপনের পর তা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছিল।
তিনি বলেন, লেবাননে যুদ্ধবিরতি ও ইরান দুর্বল হওয়ার পরে হামাস যে ব্যাপক চাপে ছিল এবং আঞ্চলিক সমীকরণ যেভাবে বদলে গিয়েছিল, এই যুদ্ধবিরতি শুধুমাত্র সেটার ফলাফলই নয়। বরং আমেরিকার দৃঢ় ও কষ্টসাধ্য কূটনীতিরও ফলাফল।

প্রসঙ্গত , ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে ১ হাজার ২১০ জন নিহত হন। ইজরায়েল থেকে পণবন্দি করা হয় ২৪১ জনকে। তাদের মধ্যে ৯৪ জন এখনও গাজায় বন্দি রয়েছেন। হামাসের হামলার পর থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। এই হামলায় এখনও পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ৪৬ হাজার ৭০৭ জন।

সংঘাতের এই ১৫ মাসের মধ্যে শুরুর দিকে একবার মাত্র সাত দিনের যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। এরপর থেকে কয়েক দফায় যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে আলোচনা হয়েছে। তবে তা আলোর মুখ দেখেনি। এরই মধ্যে সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তির চাপ বাড়তে থাকে। এ লক্ষ্যে মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে জোর তৎপরতা শুরু করে কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্র। হামাস ও ইজরায়েলের সঙ্গে শুরু করে আলোচনা।

–

–

–

–

–

–
