মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ধনধান্য অডিটোরিয়ামে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ‘নূতন যৌবনের দূত’

শীতের শহরে সাংস্কৃতিক উন্মাদনা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)উদ্যোগে কলকাতার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে (হল-২) আয়োজিত হল নৃত্য ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের আসর ‘নূতন যৌবনের দূত’। ১৮- ১৯ জানুয়ারি এই সাংস্কৃতিক পর্বের আয়োজক পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal)তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ। এদিন উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন (Indranil Sen),দফতরের প্রধান সচিব শান্তনু বসু, সচিব কৌশিক বসাক। শনির বিকেলে সুরেলা কণ্ঠে পুরনো দিনের বাংলা গানে মাতিয়ে দেন অরিত্র দাসগুপ্ত (Aritra Dasgupta)। এই অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, তথ্য সংস্কৃতি দফতরের এই ‘নূতন যৌবনের দূত’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিস্কপ্রসূত। নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের তুলে ধরাই এই অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য। কারণ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত থেকে বাচিক শিল্প, নৃত্যসৃজনশীলতা থেকে লাইট মিউজিক- সংস্কৃতির এত বৈচিত্র্যময় প্রতিভা বাংলা ছাড়া এত ব্যাপক হারে কোথাও মেলে না। মন্ত্রী বলেন, এই অনুষ্ঠান পুজোর আগেই করার ইচ্ছে থাকলেও মুস্টিমেয় কিছুজনের সামাজিক বিষয়ে প্রতিবাদের নামে রাজনীতি করার চেষ্টার কারণে ‘নূতন যৌবনের দূত’-এর মতো সাংস্কৃতিক উদ্যোগকে একটু পিছিয়ে এই সময়ে করতে হল। গত বছরের মাঝামাঝি থেকে কিছু মানুষ দুর্গোৎসব বয়কটের স্লোগান দেওয়া থেকে শুরু করে নানা কাণ্ড ঘটিয়ে খবরের শিরোনামে থাকার অপচেষ্টা করেছিলেন, সেইসব কিছুকে নস্যাৎ করে শারদোৎসব থেকে চলচ্চিত্র উৎসব সবেতেই গড়ে প্রায় ৩০ শতাংশের বেশি ফুটফল হয়েছে। অন্যান্যবারের থেকে এবারে দুর্গাপুজোর প্রায় ১১ শতাংশের বেশি কমিটির কাছে সরকারের তরফে পৌঁছে যাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।

‘নূতন যৌবনের দূত’ অনুষ্ঠানের অগ্রাধিকার পাবেন বাংলার শিল্পীরাই। এদিন এই বিষয়টা স্পষ্ট করে দেন ইন্দ্রনীল। তিনি জানান, অন্যরাজ্যের প্রতিভাদের বাংলা সম্মান জানায় তবে ভুলে গেলে চলবে না যে বাংলার শিল্পীরা যুগে যুগে বিশ্ববন্দিত। তাই শিল্পীদের অনুষ্ঠানের যথাযথ মঞ্চ করে দিতেই তথ্য সংস্কৃতি দফতরের এই ধরণের আয়োজন প্রশংসনীয়। মন্ত্রী বলেন, সারাবছরই একতারা মঞ্চে নতুন প্রতিভাদের নিয়ে উইকেন্ড স্পেশাল অনুষ্ঠান করবে রাজ্য। এদিন মান্না দের ‘বাজে গো বীণা’ গান গেয়ে অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বের সূচনা করেন অরিত্র। এছাড়া শ্যামল মিত্র, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়-সহ বিশিষ্ট শিল্পীদের কালজয়ী সঙ্গীত পরিবেশন করেন তিনি। সুরেলা সফরে সলিল চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দর্শকের মন মাতালেন তৃষা পাড়ুইও। এদিন অডিটোরিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। রাজ্য সরকারের (Government of WB) উদ্যোগে আয়োজিত এই নস্টালজিক সন্ধ্যার প্রশংসা করেন সকলেই। আগামিকাল অর্থাৎ ১৯ জানুয়ারি এই ‘নূতন যৌবনের দূত’ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।