বাংলাদেশের প্রশাসনের মদতেই ভারতের উপর বারবার হামলা যে চালানো হয়েছে, তার একাধিক উদাহরণ উঠে এসেছে গত কয়েকমাসে। সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ (infiltration) বন্ধে তাই বারবার কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে ফের একবার শুকদেবপুরে (Sukdebpur) আরক্ষিত সীমানায় হামলা বাংলাদেশের দুষ্কৃতীদের। ভারতীয় কৃষকদের ফসল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় কার্যত মার খেয়ে ফিরে আসেন বিএসএফ (BSF) জওয়ানরা।

১১ জানুয়ারি বাংলাদেশের তরফে প্রতিবাদের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মালদহের (Maldah) শুকদেবপুর (Sukdebpur) সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়ার কাজ। এরপর ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের (MEA) তরফে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারকে সীমান্ত অশান্তি বন্ধ দিল্লিতে তলব করা হলেও আদতে যে কেন্দ্রের সরকার কোনও রকম কাজের কাজ করতে ব্যর্থ, তা ফের একবার প্রমাণিত শনিবার। ফের সেই শুকদেবপুরে ভারতীয় কৃষকদের উপর হামলা চালালো বাংলাদেশের (Bangladesh) দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে কেটে নেওয়া হয় কৃষকদের আমগাছ। সকাল থেকে কৃষকরা জমিতে কাজে গেলে তাদের উপর হামলা চালানো হয়।

এরপর বেলা বাড়তে ভারতের সীমান্তে (India border) ভারতীয় কৃষকরা একজোট হয়ে দুষ্কৃতীদের ঢোকার চেষ্টায় বাধা দিলে তাদের উপর চড়াও হয় বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা। বিএসএফের (BSF) কিছু জওয়ান সেখানে দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। আহত হন মালদহের একাধিক কৃষক ও জওয়ানরাও। বিজিবি (BGB) এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীদের ঠেকাতে কোনও উদ্যোগই নেয়নি। উপরন্তু শুকদেবপুরের (Sukdebpur) বড় সংখ্যায় কৃষক সীমান্তে নিজেদের ফসল বাঁচাতে জমায়েত করলে তাঁদের উপর পাথরবৃষ্টি শুরু হয়।

পরে বিএসএফ (BSF) মালদহের কৃষকদেরই গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। তারপরেও বাংলাদেশ সীমান্তে বিকাল পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের বিরাট জমায়েত দেখা যায়। গ্রামে ফিরে গেলেও শুকদেবপুরের কৃষকদের আশঙ্কা কাঁটাতার-বিহীন সীমান্ত দিয়ে রাতের অন্ধকারেই তাদের ফসল কেটে নিয়ে যাবে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা।
–

–

–

–

–

–

–
