বাংলার বাড়ির উপভোক্তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহে জেলাশাসকদের নির্দেশ নবান্নের

কেন্দ্র বঞ্চনা করেছে, কিন্তু রাজ্য সরকার বাংলার বাড়ি (Banglar Bari/ Housing for all) প্রকল্পে উপভোক্তাদের প্রাপ্য টাকা দিতে শুরু করেছে। ডিসেম্বরেই প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকে গেছে। বাড়ি তৈরির কাজ শুরুও করে দিয়েছেন উপভোক্তারা।এই অবস্থায় বাড়ি তৈরির সামগ্রী নিয়ে যাতে কেউ কালোবাজারি করতে না পারে তার জন্য সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (Manoj Panth)। উপভোক্তাদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় ইট, বালি, সুড়কি–সহ অন্যান্য সামগ্রী স্বাভাবিক সরবরাহ নিশ্চিত করতে জেলা শাসকদের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন (Nabanna)।

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের (Banglar Bari/Housing for all) প্রথম দফার টাকা কিছু ভূমিহীন উপভোক্তা ছাড়া সবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গিয়েছে। এই অবস্থায় যদি বাড়ি তৈরির জোগান সামগ্রী সঠিক দামে না মেলে সেক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করতে পারবেন না উপভোক্তারা। পাশাপাশি জোগানে টান পড়লে উপভোক্তারা বেশি দাম দিয়ে ইট বালি কিনতে বাধ্য হবেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)স্পষ্ট নির্দেশ, এই রকম পরিস্থিতি যাতে কোনওভাবেই তৈরি না হয় সে বিষয়ে প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে হবে। সেই সঙ্গে যে ভূমিহীন উপভোক্তাদের জমি নেই বলে টাকা দেওয়া যায়নি, তাঁদের জন্য অবিলম্বে জমি দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে বলা হয়েছে জেলা শাসককে।রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সব জেলা শাসকদের এই মর্মে নির্দেশ পাঠিয়েছেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর। বাংলার বাড়ির প্রকল্পের পাশাপাশি এদিন দুয়ারে সরকার শিবিরের প্রস্তুতি নিয়েও বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, খোলা জায়গায় শিবির করতে হবে। যাতে জন সমাগম হলে কোনও সমস্যা না হয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্য শিবির, আধার সংযোগ ক্যাম্প, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার ক্যাম্পের ব্যবস্থাও রাখা বাধ্যতামূলক।