ভালো নজরদারির জন্য সীমান্ত থেকে ৫০ কিমি এলাকা রাজ্যের হাত থেকে নিয়ে নিজেদের নজরদারির অধীনে ঢুকিয়েছিল বিএসএফ (BSF)। সেখানে ঠিক কতটা নজর রাখে বিএসএফ, তা স্পষ্ট হয়ে গেল নদিয়ার (Nadia) মাজদিয়ায় বাঙ্কার উদ্ধারের ঘটনায়। বিভিন্ন ধরনের জিনিস থেকে মানব পাচার (human trafficking) বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতিতে বেড়ে গিয়েছে। সবটাই বিএসএফের নজরদারির ঘাটতির কারণেই সম্ভব হয়। ফলে ৫০ কিমি এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়ে আদতে যে সেইসব এলাকায় বেআইনি কাজকর্মকেই প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে, প্রমাণিত কৃষ্ণগঞ্জের বাঙ্কার (bunker) উদ্ধারের ঘটনায়।
সম্প্রতি কয়েকমাস ধরে পাচারের পথে প্রচুর পরিমান কাশির ওষুধ (cough syrup) আটক করেছে বিএসএফ। অনেক ক্ষেত্রে পাচারের পথ বা পাচারকারীর সন্ধান পেলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উৎস সন্ধানে ব্যর্থ হয়েছে বিএসএফ (BSF)। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে হঠাৎই সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন বলে অনুভব করেছে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র দফতর। আর সেই নজরদারি চালাতে গিয়েই বিএসএফ নজরদারি এলাকার মধ্যেই মাটির তলায় বাঙ্কারে (bunker) লুকানো কাশির ওষুধ মজুত খুঁজে পাওয়া গেল।
কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়ায় একটি বাগানের ভিতর প্রথমে মাটির ঢিপি ও মাটির নিচে নির্মাণ কাজের সন্ধান পাওয়া যায়। নির্মীয়মান বাঙ্কার উদ্ধারের পরই জেসিবি দিয়ে মাটি খুঁড়ে শুরু হয় তল্লাশি। তাতেই খোঁজ পাওয়া যায় একই বাগানের মাটির তলায় কন্টেনার (container) দিয়ে তৈরি আরও তিন বাঙ্কারের। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ৫ ট্রাকের সমান নিষিদ্ধ কাশির ওষুধ। সেই সঙ্গে এই সব বাঙ্কারে যে নিয়মিত মানুষের যাতায়াত রয়েছে তাও স্পষ্ট হয়ে যায় সেখান থেকে খেলার সরঞ্জাম উদ্ধারে।
নিষিদ্ধ কাশির ওষুধ (cough syrup) পাচার বেশ কয়েকমাস ধরে বিএসএফই (BSF) আটকাচ্ছে। তারপরেও সেই জিনিসের এতবড় মজুত খুঁজে পেতে এত সময় কেন লাগল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সেই সঙ্গে বিএসএফের নজরদারিতে থাকা এলাকায় একের পর এক এত বাঙ্কার কীভাবে তৈরি হল, কেউ কীভাবে তা টেরও পেল না, তা নিয়েও প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র দফতর। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে অপস অ্যালার্ট জারি না হলে কী এভাবেই কাশির ওষুধের পাশাপাশি আরও কিছু পাচারের অপেক্ষা করতে হত বাংলার মানুষকে, উঠেছে প্রশ্ন।
–
–
–
–
–
–
–