Friday, November 7, 2025

মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় শীর্ষ আদালতে এবার জনস্বার্থ মামলা

Date:

Share post:

প্রয়াগরাজ এখন মৃত্যুপুরী। মৌনী অমাবস্যায় অমৃতস্নান করতে গিয়েই বিপত্তি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা এখন গিয়ে দাঁড়াল ৩০। ২৫ জনকে শনাক্ত করা গেলেও বাকিদের যায়নি। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে ২জন বাংলার। পুণ্যার্জনে এসে আত্মীয় ও প্রিয়জনকে হারিয়ে মহাকুম্ভের আকাশে এখন শুধুই কান্নার আওয়াজ ৷ এদিন দুপুর পর্যন্ত অমৃত স্নান সেরেছেন প্রায় ৪ কোটি ২৪ লাখ পুণ্য়ার্থী । মেলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ কোটি পুণ্য়ার্থী স্নান সেরেছেন। সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। এছাড়া দুর্ঘটনার পর থেকে মহাকুম্ভ মেলা এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যা আরো প্রকট হয়েছে । মাঝে মধ্যেই কল রিসিভ হচ্ছে না । ইন্টারনেট পরিষেবাও তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। হোয়াটসঅ্যাপ কলেও কথা বলা যাচ্ছে না।

এমতাবস্থায় এবার মহাকুম্ভের বিপর্যয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হল জনস্বার্থ মামলা। মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে পুণ্যার্থীদের মৃত্যুর ঘটনা থেকে সমস্ত রাজ্যকেই শিক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আজই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে শুনানির আর্জি জানানো হতে পারে বলেই খবর। এদিনের এই ন্যক্কারজনক ঘটনা নিয়েই বিশাল তিওয়ারি নামক এক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। তিনি জানান উত্তর প্রদেশের মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে। যাদের অবহেলা ও গাফিলতির ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই ব্যক্তি, কর্তৃপক্ষ ও আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ করতে হবে। মহামিলন বা যেকোন মেলার বা জন সমাগমের ক্ষেত্রে সমস্ত রাজ্যের উচিত সঠিকভাবে পরিষেবা প্রদান করা। নিজের রাজ্যের লোকজনদের কথা মাথায় রেখে যথেষ্ট পরিমান ইনফরমেশন সেন্টার বা তথ্য কেন্দ্র তৈরি করা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত সম্পূর্ণ তথ্য বিশদে জানানো উচিত। কুম্ভমেলার মতো বড় অনুষ্ঠান, যেখানে কোটি কোটি মানুষের জনসমাগম সেখানে রাজ্যবাসীদের নিরাপত্তা সম্পর্কিত কোনরকম গাইডলাইন দেওয়া হয়নি কেন এই নিয়ে তোলা হয়েছে প্রশ্ন।

শীর্ষ আদালতের কাছে আর্জিতে বলা হয়েছে, কুম্ভমেলায় সমস্ত রাজ্যের নিজস্ব সেন্টার রাখতে হবে। ইমার্জেন্সির সময় সব রকমের সাহায্য করতে সব রাজ্যের সঙ্গে মিলেই আয়োজন করতে হবে। ঘোষণার জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা উচিত। দিক নির্দেশের জন্য রাস্তায় বোর্ডের ব্যবস্থা থাকা দরকার। সেই বোর্ড আঞ্চলিক ভাষায় হতে হবে যাতে সাধারণ মানুষ সেই নোটিস বা বোর্ডের লেখা পড়ে বুঝতে পারেন। এছাড়া রাজ্যগুলির ইলেকট্রনিক মোডে মেসেজ পাঠানোর ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক। এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও সহজে যাতে পুণ্যার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ পাঠানো যায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এন্ট্রি-এক্সিট পথে যথেষ্ট পরিমান জায়গার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

spot_img

Related articles

দুর্যোগ পরিস্থিতি পর্যালোচনা: আগামী সপ্তাহেই উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

ভয়াবহ দুর্যোগ পেরিয়ে মাথা তুলে দাঁড়ানোর পর্যায়ে উত্তরবঙ্গ। রাজ্য প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের লাগাতার পরিষেবা ও পদক্ষেপে যোগাযোগ...

তালিকায় নাম নেই! কেউ স্ত্রীর জন্য, কেউবা বিএলও-র সামনেই প্রাণ দিলেন

রাজ্যের হাজার হাজার মানুষের নাম নেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়। ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জেলায় আতঙ্কে কেউ আত্মঘাতী, কেউবা...

শিলিগুড়িতে উৎসবের মেজাজেই সোনার মেয়েকে বরণ, নিজের অনুভূতির কথা জানালেন আপ্লুত রিচা

বিগত কয়েক বছর ধরেই পুরুষ এবং মহিলা ক্রিকেটের মধ্যে ব্যবধান একটু একটু কমছে। আইসিসি বিশ্বকাপ জিতে ভারতীয় ক্রিকেটেই...

পথশ্রী প্রকল্প বেনিয়ম বরদাস্ত নয়: স্পষ্ট নির্দেশ মুখ্যসচিবের

পথশ্রী প্রকল্পের অধীনে গ্রামীণ রাস্তাগুলির মান বজায় রাখতে জেলা প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিলেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ। শুক্রবার...