প্রশাসনিক অপদার্থতায় মহাকুম্ভে মৃত্যু মিছিল। পদপিষ্ট হয়ে মৃতের তালিকায় রয়েছেন বাংলার দুই প্রৌঢ়া। একজন কলকাতার (Kolkata)বাসিন্দা, অন্যজনের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে। দুর্ঘটনায় যোগী সরকারের গাফিলতির দিকেই আঙ্গুল তুলছেন পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দেহ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মহাকুম্ভে (Mahakumbh ) মৃত্যুমিছিলে বাংলার আর কেউ আছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।

বুধবার, মৌনী অমাবস্যায় পুণ্যস্নানে গিয়ে ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় কলকাতার ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের অশ্বিনী নগরের বাসিন্দা বাসন্তী পোদ্দার (Basanti Poddar), বয়স ৬৫ বছর। ছেলে মেয়ে এবং বোনকে নিয়ে প্রয়াগরাজে গেছিলেন তিনি। পুণ্য তিথিতে স্নান করতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান। তাঁর ছেলে চেষ্টা করেন মাকে তোলার। কিন্তু লাভ হয়নি। ততক্ষণে গুরুতর জখম হন। পরে মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে, প্রায় ১৪৪ বছর পর ত্রিবেণী সঙ্গমে অমৃত স্নানের সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির বাসিন্দা ৭৮ বছরের উর্মিলা ভূঁইয়া (Urmila Bhuinya)। সোমবার খড়গপুর থেকে মেয়ে জামাই নাতনি নিয়ে মহাকুম্ভে গেছিলেন। পুণ্য লাভের আশায় প্রয়াগরাজ যাত্রা যে তাঁর নিথর দেহ ফেরাবে তা বোধ হয় দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি। উর্মিলার নাতি অভিজিৎ জানান, বুধবার ভোররাতে স্নান করতে গিয়ে এতটাই হুড়োহুড়ি শুরু হয় যে তাঁর দিদা ছিটকে পড়ে যান। প্রাথমিকভাবে তাঁকে খুঁজেও পাওয়া যায়নি। পরে মতিলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজের (Motilal Neheru Medical College) মর্গে গিয়ে দেহ সনাক্ত করতে হয়। আজ তাঁর মৃতদেহ রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এদিন বিকেলে শালবনিতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে পরিবার সূত্রে খবর।

–

–

–

–

–

–

–

–

–
