চরম অমানবিক উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃতদের দেহের ময়নাতদন্ত না করে বা যথাযথ ডেথ সার্টিফিকেট না দিয়ে পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে দেহ। এই ঘটনায় রাজ্য সরকার উদ্বিগ্ন।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পান্থ বিষয়টি নিয়ে উত্তরপ্রদেশের সরকারের সঙ্গে কথা বলছেন।

জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত এ রাজ্যের দুই বাসিন্দার দেহ রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। ডেথ সার্টিফিকেটের বদলে তাদের একটি চিরকুট দেওয়া হয়েছে। তাতে উত্তরপ্রদেশ সরকারের(uttarpradesh government) কারও স্বাক্ষর নেই। শুধুমাত্র মৃতের নাম–ঠিকানা আর যিনি মৃতদেহ নিচ্ছেন, সেই পরিজনের নাম ও স্বাক্ষর থাকছে। এমন চিরকুট–সহ দেহ নিয়ে আসার পর দাহ করার সময় ডেথ সার্টিফিকেট না থাকায় আইনি জটিলতা তৈরি হচ্ছে। মৃতদের পরিজনকে যে চিরকুট দেওয়া হয়েছে, তার আইনি বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে ।ডেথ সার্টিফিকেট না পাওয়া গেলে সরকারের পক্ষে আর্থিক সাহায্য দেওয়াও সমস্যার।

এই বিষয়ে জানতে পারার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যসচিবকে(chief secretary) উত্তরপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্যের বিদ্যুৎ ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, উত্তরপ্রদেশ সরকারের আচরণ অমানবিক। ডেথ সার্টিফিকেট না পাওয়া গেলে মৃতের পরিজন কোনওভাবেই মৃতের সম্পত্তির উত্তরাধিকারও দাবি করতে পারবেন না। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ মানবিকতার সঙ্গে বিচার করেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে।

এখনও রাজ্যের বহু মানুষ মহাকুম্ভে নিখোঁজ। তালিকা লম্বা হচ্ছে। এই নিখোঁজদের অনেকে হয়তো পরে দেখা যাবে, মৃত। নিখোঁজদের তালিকা তৈরি করে এবং এ রাজ্যের কত মানুষ মারা গিয়েছেন— সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই উত্তরপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন।

–

–

–

–

–

–

–