বিতর্ক চাপা দিতে সুব্রত বক্সিকে চিঠি লিখে ‘ক্ষমাপ্রার্থী’ মদন!

রাজনৈতিক বিতর্ক বাড়তেই গত কয়েক দিনের মন্তব্যের জন্য দলের কাছে চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। সোমবার, তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে (Subrata Bakshi) চিঠি দিয়ে দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি তাঁকে ভুল না বোঝার আবেদনও করেছেন মদন। একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের একাংশ তাঁর মন্তব্য বিকৃত করে চালিয়েছে বলেও অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের।

গত ২ দিন রাজনৈতিক মহল সরগরম মদন মিত্রের একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্যে। সেই মন্তব্য তিনি করেছেন নিজের দল তৃণমূল সম্পর্কেই। কয়েকদিন আগে মদন মিত্র বলেছিলেন, রাজ্যে এখন তৃণমূলের পদ পেতে হুড়োহুড়ি হচ্ছে। এর জন্য টাকা দিতেও অনেকে প্রস্তুত। সোমবার আবার সেই মন্তব্যের ব্যাখ্যা করে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “সব থেকে বড় কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও দুর্নাম ছিল না। যেটুকু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গায়ে কালি লেগেছে, তা প্যাকওয়ালাদের জন্য।” মদনের একের পর এক মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্যের শাসকদল।

আগেই তৃণমূলে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কারও কাজ বা মন্তব্যের জন্য দল অস্বস্তিতে পড়লে বা দলের বদনাম হলে তাঁকে রেয়াত করা হবে না। মদনের মন্তব্য নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল চর্চা শুরু হতেই ক্ষমা চেয়ে বিতর্কে ইতি টানতে চাইলেন তিনি। দলের রাজ্য সভাপতিকে বাংলায় কামারহাটির বিধায়ক লেখেছেন, সাম্প্রতিককালে তাঁর দুটি মন্তব্য সংবাদমাধ্যমের একাংশে বিকৃতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মদন লেখেন, “আমাদের সকলের সভানেত্রী মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মর্মাহত হয়েছেন। এর জন্য আমি লিখিতভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি। এবং দলকে অনুরোধ করছি, আমায় ভুল না বুঝে ক্ষমা করার জন্য।” এই চিঠির পরে তৃণমূল কী ব্যবস্থা নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন – সরকারি পদের লোভেই বিজেপির কারচুপিতে মদত দিচ্ছেন নির্বাচন কমিশনার! তোপ কেজরির

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_