টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে অসহযোগিতার অভিযোগ, থমকে সৃজিতের শুটিং 

0
2

শুরু হওয়ার আগেই থমকে গেল সিরিয়ালের শুটিংয়ের কাজ। টালিগঞ্জের (Tollygunge) স্টুডিও পাড়ায় ফের পরিচালক ‘বয়কট’ টেকনিশিয়ানদের একাংশের। রাহুল মুখোপাধ্যায়, জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পর এবার বন্ধ সৃজিত রায়ের (Srijit Roy) শুটিং। প্রাথমিকভাবে তাঁর সেট ভেঙে দেওয়ার গুজব ছড়ালেও, পরবর্তীতে জানা যায় গত দুদিন ধরে টেকনিশিয়ানদের একাংশ না আসার কারণে থমকে গেছে সেট তৈরির কাজ। নেপথ্যে ফেডারেশনের (Federation of Cine Technicians and Workers of Eastern India) হাত আছে বলে পরিচালকদের অনেকেই মনে করছেন। সৃজিত জানিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছিল সেই সময়ে ফেডারেশনের বিরুদ্ধে মন্তব্যে জেরেই কি এমন কাণ্ড? তাহলে কি ফের চওড়া হচ্ছে ডিরেক্টরস বনাম ফেডারেশন ‘ফাটল’? সৃজিতের পাশে দাঁড়িয়েছেন সুদেষ্ণা রায়, রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty), পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়রা (Parambrata Chatterjee ) ।

গত জুলাই মাসে টলিপাড়ায় অচলাবস্থা শুরু হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন কোনভাবেই শুটিং বন্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে দেওয়া যাবে না। এই সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করার জন্য তিনি একটি বিশেষ কমিটি তৈরির কথাও বলেন। তা সত্ত্বেও কাজ করতে গিয়ে কেন বারবার বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বাংলা সিনেমা- সিরিয়াল- ওয়েব সিরিজের পরিচালকদের, প্রশ্ন তুলছেন পরমব্রত। তাঁর সরাসরি অভিযোগ, গৌতম ঘোষ, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং দেব (দীপক অধিকারী) মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মিটিং করার এর পর, তাঁর কথামতো যে কমিটি তৈরি সিদ্ধান্ত হয়েছিল তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেননি। দেখতে দেখতে চার মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত। ইতিমধ্যেই জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো পরিচালকদেরও শুটিং করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। টলিপাড়ায় সিরিয়াল জগতের পরিচালকদের অন্যতম বড় মুখ সৃজিত রায় । তাঁর সেটের টেকনিশিয়ানদের পরিচালকের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেছে ডিরেক্টরস গিল্ড। গোটা ঘটনার জেরে বাংলা বিনোদন জগতে (Entertainment Industry) ফের অচলাবস্থা তৈরির আশঙ্কা শিল্পীদের মনে। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী ডিরেক্টাররা একটি মিটিং করেছেন এবং আগামিকাল পর্যন্ত তাঁরা অপেক্ষা করবেন। সমস্যার সমাধান না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য শুটিং বন্ধ হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।