Saturday, November 8, 2025

ক্ষমতায় এসেই একেবার নাম করে তিন দেশের উপর শুল্ক চাপিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এবার পাল্টা প্রতিক্রিয়া শুরু ট্রাম্পের নিশানায় থাকা দেশগুলির। আমেরিকার (USA) শুল্ক চাপানোর ঘোষণার পরেই পাল্টা শুল্ক চাপানো হুঁশিয়ারি দেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। একই পথে এবার শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা চিনের। ভারতের বাজেট পূর্ববর্তী পরিস্থিতিতে বিশ্ব জুড়ে শুল্ক-যুদ্ধে জল মাপছে ভারত। বাজেট ঘোষণার সময়ে প্রথম ধাপ পেশ হলেও জিএসটি (GST) সংক্রান্ত ঘোষণা স্থগিত রেখেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মল সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। আমেরিকার শুল্ক যুদ্ধের উপর নজর রেখেই সেই ঘোষণা হবে, বলে অনুমান অর্থনীতিবিদদের।

মাত্র তিন-চারদিন আগেই চিনের (China) সব ধরনের দ্রব্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক (tariff) চাপিয়েছিল আমেরিকা। এমনকি ট্রাম্পের দফতর থেকে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল, চিনে তৈরি জিনিসের (Chinese product) উপর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপানো হতে পারে বলেও। মঙ্গলবার থেকে চিনের উপর এই শুল্ক নীতি আরোপ হতেই পাল্টা ঘোষণা জিন পিং সরকারের। ঘোষণা করা হয় আমেরিকার কয়লা (US coal) ও প্রাকৃতিক গ্যাসে (LNG) ১৫ শতাংশ ও জ্বালানি তেলে (crude oil) ১০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হল। এছাড়াও আমেরিকান সংস্থা অ্যালফাবেট (Alphabet), কেলভিন ক্লেইন (Calvin Klein), ইলুমিনা-র (Illumina) মতো সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু করেছে জিন পিং সরকার।

ইতিমধ্যেই কানাডার (Canada) উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার থেকে তাও লাগু হওয়ার কথা ছিল আগামী ৩০ দিনের জন্য। রবিবার পাল্টা কানাডা প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো আমেরিকার সব পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক (tariff) চাপানোর ঘোষণা করে। এরপরই মঙ্গলবার কানাডার উপর শুল্কের ঘোষণা স্থগিত করে দেন ট্রাম্প। তবে চিনের শুল্ক চাপানোর পরে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি আমেরিকা।

আবার ইতিমধ্যেই ইউরোপের (Europe) দেশগুলি থেকে গাড়ি, কৃষিদ্রব্য কেনা বন্ধ করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। এর ফলে ব্যাপক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা ইংল্যান্ডের অর্থনীতিতে। যদিও ইংল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার (Keir Starmer) আমেরিকার সঙ্গে কোনও দ্বন্দ্বে যাওয়ার পথে যাবেন না বলেই জানিয়েছেন।

কার্যত ক্ষমতায় এসেই গোটা বিশ্বের অর্থনীতিকে আমেরিকার স্বার্থে যেভাবে পরখ করে দেখে নিতে চাইছেন ট্রাম্প, তাতে উথালপাথাল বড় অর্থশালী দেশগুলি। এই পরিস্থিতিতেই ভারতের বাজেট পেশ হয়েছে। বাজেট পেশের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের অর্থনীতিতে বিদেশি প্রভাবের উল্লেখ করেছিলেন। যা আমেরিকা ও চিন দুই শক্তিধর দেশের উপরই অনেকাংশে নির্ভরশীল। দেশের অর্থনীতিবিদদের দাবি, গত একমাস ধরেই আমেরিকা ও চিনের অর্থনৈতিক দ্বন্দ্বের দিকে নজর রেখেছে ভারতীয় অর্থনীতিবিদরা। এই দ্বন্দ্বের ফলে ভারতের মধ্যে প্রতিযোগিতার মানসিকতা বাড়ার সম্ভাবনা দেখেছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে সব থেকে উল্লেখযোগ্য, আমেরিকা (USA) ও চিনের (China) বাজারে চাপ পড়ার ফলে ভারতের ইলেক্ট্রনিক্স, ওষুধ, বস্ত্রশিল্প, গাড়ির যন্ত্রাংশ ও কেমিক্যাল দ্রব্যের বাজার খুলতে পারে। সেক্ষেত্রে বাজেটে জিএসটি সংক্রান্ত ঘোষণা যেভাবে স্থগিত রেখেছেন নির্মলা সীতারমন, তা এই দ্রব্যগুলির চাহিদার উপর নজর রেখেই ঘোষণা করা হতে পারে।

Related articles

সৌরভ ছাড়া অন্য কারও ICC সভাপতি থাকার কথা নয়: বললেন ‘ঠোঁটকাটা’ মমতা

ছিল বিশ্বজয়ী ক্রিকেটার রিচা ঘোষের (Richa Ghosh) সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। শনিবার ইডেনে সেই অনুষ্ঠানে বোমা ফাটালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের...

বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন দল! চেয়ারম্যান হিসাবে নিজের নাম ঘোষণা হুমায়ুন কবীরের

বারবার দল বিরোধী কথাবার্তা। দলের পদক্ষেপ নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা। এবার মুখোশ খুলল হুমায়ুন কবীরের। তিনি এবার নিজেই দল...

আপনি কি মোটা বা সুগারের রোগী? বাতিল হতে পারে আপনার মার্কিন ভিসা

বিদেশের নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম লাগু করল আমেরিকা। দেশের সম্পদ রক্ষা করার নামে এবার একাধিক শারীরিক...

বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি বাধ্যতামূলক, বিএলওদের ওপর কড়া নজর কমিশনের

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (SIR) প্রক্রিয়া ঘিরে নতুন নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ উঠেছিল, অনেক বিএলও...
Exit mobile version