জাভেদ আখতারের মানহানির মামলায় চরম বিপাকে পড়লেন অভিনেত্রী সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত। জামিন অযোগ্য ধারায় তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে। আদালত তাঁকে শেষ সুযোগ দিল। এবার হাজিরা না দিলে কঠোর ব্যবস্থা।

বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা এখন বিজেপির সাংসদ। বিতর্ককে নিত্যসঙ্গী করেই তিনি চলেন। তাই তাঁকে বলিউডের ‘কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন’ বলছেন সমালোচকরা। সেই কন্ট্রোভার্সি কুইন কঙ্গনা এবার গীতিকার জাভেদ আখতারের দায়ের করা মানহানির মামলায় বেশ আইনি প্যাঁচে পড়েছেন। বারবার তলবেও আদালতে গরহাজির কঙ্গনাকে এবারই শেষ সুযোগ দিল মুম্বই আদালত। এরপর হাজিরা না দিলে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হবে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় কঙ্গনার গ্রেফতারির সম্ভাবনাও প্রবল।
জাভেদ আখতার ২০২০ সালে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু-বিতর্কে কঙ্গনা বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সুশান্ত সিং রাজপুত বলিউডে ‘নেপোটিজম’ বা স্বজনপোষণের শিকার। নিজের মতপ্রকাশ করে কঙ্গনা দায়ী করেছিলেন বিশিষ্ট গীতিকার জাভেদ আখতারকে। এ বিষয়ে গোপন এক সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে এনে যে মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা, তাতে যথেষ্ট অসম্মানিত হন বর্ষীয়ান শিল্পী। তারপরই তিনি মানহানির মামলা করেন মুম্বই আদালতে। সেই মামলায় ৪০টি দিন শুনানিতে হাজির হননি কঙ্গনা। মঙ্গলবারও শুনানির দিন ছিল।

তাঁর আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি জানান, সংসদীয় কাজে ব্যস্ত থাকায় আদালতে হাজির হওয়া সম্ভব নয় কঙ্গনা রানাওয়াতের। এরপর জাভেদ আখতারের আইনজীবী জয় কে ভরদ্বাজ পালটা আপিল করেন, আদালতের গুরুত্বপূর্ণ ৪০ দিন নষ্ট করেছেন সাংসদ-অভিনেত্রী। তাই তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হোক। সওয়াল-জবাবের পর বিচারক জানিয়ে দেন, কঙ্গনা রানায়াতের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে তাঁকে শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী শুনানিতে তাঁকে হাজির হতে হবে। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা নেবে আদালত।-

–

–

–

–

–

–

–

–
