ধানমন্ডির বাড়ি ভাঙতে ছাত্রদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে: ‘বেইমান’ ইউনূসের বিচার দাবি হাসিনার

ফোন থেকে যে লাভ হবে সেই টাকা গ্রামীণ ব্যাঙ্কে (Gramin Bank) দেওয়া হবে। উনি দেননি। আর্থিক তছরুপ (money laundering) করেছিলেন। একটি মানুষের ক্ষমতার লোভ

কোটা আন্দোলনে আদৌ যে ছাত্রদের আন্দোলন ছিল না, তা আগেই দাবি করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। এবার মুজিবের ধানমণ্ডির (Dhanmandi) বাড়ি আগুন লাগিয়ে ভাঙার পরে কাদের প্ররোচনায় ২০২৪ সালের অগাস্ট আন্দোলন হয়েছিল, তা আবারও স্পষ্ট করে তুলে ধরলেন অডিও বার্তায়। আদতে ‘ক্ষমতালোভী’ প্রশাসক মহম্মদ ইউনূসের (Mohammed Hasina) মদতে যে ইতিহাস ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে, তার বিচার বাংলাদেশের (Bangladesh) মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন হাসিনা।

বুধবার মধ্যরাতের ভয়ানক ধ্বংসলীলার পরে হাসিনা তুলে ধরেছেন পাকিস্তানি সেনার (Pakistan Army) অত্যাচারের কাহিনী। তিনি স্মরণ করান, ওই বাড়িতেই ১৫ অগাস্ট আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে (Sheikh Mujib) হত্যা করা হয়েছে। মা বেগম ফজলতুন্নেসা মুজিবকে হত্য়া করে। তিন ভাই ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, শেখ জামাল, রাসেল, চাচা আবু নাসেরকে হত্যার কাহিনীও বর্ণনা করেন তিনি। সেখানেই হাসিনার প্রশ্ন, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি যেখান থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল। তখনও তারা বাড়িটা লুটপাঠ করেছিল। কিন্তু আগুন দিয়ে পোড়ায়নি, ভাঙেনি।

অথচ মুখ্য প্রশাসক মহম্মদ ইউনূসের দাবি করা প্রকৃত স্বাধীন বাংলাদেশে সেই বাড়িই আগুন লাগিয়ে ভেঙে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হল। সেখানেই কোটা আন্দোলন নিয়ে হাসিনার প্রশ্ন, কোটা আন্দোলনের নামে এমন পরিবেশ তৈরি করা হল যে ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষক অবমাননা করে। গাছে বাঁধে, গলায় জুতোর মালা ঝোলায়। বৈষম্যহীন ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমেই আজ বৈষম্য তৈরি করা হচ্ছে। শিক্ষক অপমান। পুলিশ পিটিয়ে হত্যা। অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যা। এরা কারা? এরা কী গণহত্যাকারী নয়? এরা কী স্বেচ্ছাচারী নয়?

তবে ছাত্রছাত্রীদের দোষ দেননি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, জানি ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে। লাখো শহিদের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা পেয়েছি তা কয়েকজন বুলডোজার (bulldozer) দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবে এশক্তি হয়নি তাদের এখনও। এটা তাদের দুর্বলতার প্রকাশ। সেখানেই ইউনূসের মুখোশ খুলে হাসিনার দাবি, ইউনূসকে সবথেকে বেশি সহযোগিতা আমি করেছিলাম। গ্রামীণ ব্যাঙ্কের (Gramin Bank) ম্যানেজারের পদ। ছয় হাজার টাকা বেতন। গ্রামীণ ফোনের (Grameenphone) ব্যবসাটাও ইউনূসকে দিয়েছিলাম। বারবার আমার কাছে ধারণা দিয়েছিল। কথা ছিল এই ফোন থেকে যে লাভ হবে সেই টাকা গ্রামীণ ব্যাঙ্কে (Gramin Bank) দেওয়া হবে। উনি দেননি। আর্থিক তছরুপ (money laundering) করেছিলেন। একটি মানুষের ক্ষমতার লোভ বাংলাদেশকে ছারখার করে দিচ্ছে। কৃতজ্ঞতা নেই।

মহম্মদ ইউনূসের (Mohammed Yunus) প্রকৃত রূপ তুলে ধরে হাসিনা মারাত্মক অভিযোগ করেন অডিও বার্তায়। তিনি জানান, এত বেইমান যে সে আমাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল। ছাত্রদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে। তার মানে এদের উদ্দেশ্য কী ছিল? সেই প্রসঙ্গেই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি হাসিনার প্রশ্ন, বাড়িটার কী অপরাধ? বাড়িটাকে কেন এত ভয়? দেশের জনগণের কাছে বিচার চাই? আমি কী আপনাদের জন্য কিছুই করিনি? তাহলে কেন এই অপমান? কেন এই বাড়িটা ভেঙে ফেলা হবে? দেশের জনগণের কাছে বিচার চাই। ছাত্রছাত্রীদের কাছে এটা বলব যারা তোমাদের বিভ্রান্তির পথে নিয়ে গিয়েছিল, তারা কী খুনি হিসাবে চিহ্নিত হবে না।