RSS প্রধানের কাছে অভয়ার মা-বাবা! রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে তুমুল চর্চা

সিপিএম (CPIM). বিজেপির (BJP) পরে এবার RSS। মেয়ের মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে এবার মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagawat) কাছে আর জি কর হাসপাতালের মৃতা চিকিৎসক-পড়ুয়ার মা-বাবা। আরএসএস প্রধানের সঙ্গে তদন্তের কী সম্পর্ক? প্রশ্ন বিভিন্ন মহলের।

১০ দিনের সফরে রাজ্য রয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত। নিউটাউনের একটি অতিথিশালায় রয়েছেন তিনি। শনিবার, সেখানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন অভয়ার মা-বাবা। এর আগে তাঁদের বাড়ি গিয়ে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন মৃতার মা-বাবা। কিন্তু সেটা হয়নি। এবার তাঁরা দেখা করলেন RSS প্রধানের সঙ্গে।

আর জি কর-কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রাইকে আজীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। কিন্তু সেই রায় ও CBI-এর তদন্ত পছন্দ নয় অভয়ার মা-বাবার। সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেও ফিরিয়ে দিয়েছে আদালত। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন বলে এবার আরএসএস প্রধানের কাছে দরবার সন্তানহারা দম্পতির।
আরও খবর: নিউটাউনের নাবালিকার দেহ উদ্ধারে নজরে সিসিটিভি, শ্বাসরোধ করে খুন!

কিন্তু মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagawat) কাছে কেন! তিনি তো কেন্দ্রীয় সরকারের কেউ নয়, কেন্দ্রের শাসকদলের নেতাও নন। এই নিয়েই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। ভাগবত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। তিনি সরকারের কেউ নন। তিনি সিবিআইয়ের কেউ নন। তিনি বিচারপতি নন। এমনকী তিনি আইনজীবীও নন। তাহলে কেন? এই প্রশ্নের জবাব নেই তাঁদের কাছে। যারা বিচার পর্ব চলাকালীন প্রত্যেকদিন বাবা-মায়ের কথা শুনিয়েছে, তারাও এখন ভাগবত পর্ব এড়াতে পারলে বাঁচেন। কারণ, বিচার নয়, বাবা-মায়ের আসল উদ্দেশ্য নিয়েও এবার মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। অনেকের মতে, সুবিচার চাইতে গিয়ে ক্রমশ রাজনীতির জটিল আবর্তে পড়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

আর জি করের চিকিৎসক-পড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে কুৎসিত চক্রান্ত করেছে বাম-অতিবাম ও বিজেপি। বারবার তাদের হাতের পুতুল হয়েছেন মৃত পড়ুয়ার বাবা-মা। তাদের প্ররোচনায় কখনও বলেছেন পুলিশের তদন্তে আস্থা নেই, কখনও বলেছেন সিবিআই তদন্তে বিশ্বাস নেই, কখনও বলছেন অন্য সিবিআই চাই, কখনও বলছেন ট্রায়াল কোর্টে আস্থা নেই, কখনও বলছেন হাইকোর্ট নয় সুপ্রিম কোর্টে যাব। সেই সুপ্রিম কোর্ট ফিরিয়ে দেওয়ার পর আবার হাইকোর্টে ফিরছেন। অর্থাৎ বারবার বয়ান বদল করেছেন। বারবার আইনজীবী বদল করেছেন। বিচারের পর ফাঁসির নির্দেশের পর বিচারককে স্বাগত জানিয়ে পরদিন ফাঁসি ঘোষণা হতেই বদলে ফেলেছেন বয়ান। বলেছেন ফাঁসি চাই না! এর পিছনে উস্কানি কয়েকটি রাজনৈতিক দলের। বাবা-মায়ের মানসিক পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে তারা রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছে বারবার। আর শোকার্ত বাবা-মা তাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছেন।