লোকসভা নির্বাচনের পুণরাবৃত্তি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে (Delhi Assembly Election)। কংগ্রেসের আত্মঘাতী ভোট নীতিতে যেভাবে লোকসভায় দিল্লির সব আসনে জয়লাভ করেছিল বিজেপি, সেভাবেই দিল্লি দখল তাদের। কংগ্রেস যে আদতে আপ-এর (AAP) ভোট কেটেই নিজেদের শক্তিশালী করতে চেয়েছিল, নির্বাচনের ফলাফলের পরে তা স্পষ্ট করে দিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেত্রী শিলা দীক্ষিত পুত্র সন্দীপ দীক্ষিত (Sandeep Dikshit)। তিনি নিজে পরাজিত হলেও আখেরে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) পরাজয়ে যে তিনি খুশি তাও স্পষ্ট করে দিলেন।
আপের সঙ্গে বেইমানি লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) সময় থেকেই করে এসেছে রাহুল গান্ধী নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে দিল্লিতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিধানসভা নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কংগ্রেসের (Congress) ভোট শতাংশ মাত্র ৬ শতাংশের কাছাকাছি। সেখানে আপের ভোট শতাংশ (vote percentage) ৪৩ শতাংশের কাছাকাছি। বিজেপি ভোট শতাংশে সামান্য এগিয়ে, ৪৬ শতাংশ ভোট পেয়েই দিল্লি দখল করছে।
স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছে কংগ্রেস-আপের ভোট মিললে বিজেপির পক্ষে দিল্লি দখল সম্ভব হত না। সেখানে সন্দীপ দীক্ষিতের (Sandeep Dikshit) দাবি, তাঁরা মনে করেছিলেন মোট ভোটের ১২ থেকে ১৩ শতাংশ ভোট তাঁরা পাবেন। যেটা সম্ভব হয়নি। তাঁর আরও দাবি, মানুষ হয়তো কংগ্রেসকে (Congress) ভোট দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস সরকার গড়ার জায়গায় থাকবে না ভেবে ভোট দেননি।
রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) যেভাবে দিল্লি নির্বাচনের আগে আপের বদনাম করে আত্মঘাতী প্রচার চালিয়েছিলেন, তাতে স্পষ্ট ছিল কংগ্রেস বিজেপির থেকেও আপ-কে পরাজিত করতে বেশি আগ্রহী। কংগ্রেসের এই পদক্ষেপের সমালোচনায় মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনাও (Shivsena)। দলীয় মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের দাবি, আপ ও কংগ্রেসের প্রতিপক্ষ বিজেপি। বিজেপি যাতে ক্ষমতায় না আসে তার জন্যই দুই দল লড়েছে, অথচ আলাদাভাবে। যদি তারা একসঙ্গে লড়ত তবে গণনার প্রথম ঘণ্টাতেই বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যেত।
নতুন দিল্লি (New Delhi) আসন থেকে কংগ্রেসের হয়ে লড়েছেন সন্দীপ দীক্ষিত (Sandeep Dikshit)। আপের প্রার্থী ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসতেই সন্দীপের চাঞ্চল্যকর দাবি, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ক্ষমতা বিরুদ্ধ হাওয়া প্রবল। আমি আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি কীভাবে তিনি এত ভোট পেলেন। কার্যত স্পষ্ট কেজরিওয়ালকে হারানোর জন্যই নতুন দিল্লি থেকে লড়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী সন্দীপ দীক্ষিত। নিজের পরাজয়ে দুঃখের থেকে অনেক বেশি খুশি তিনি হয়েছেন কেজরিওয়ালের পরাজয়ে।
–
–
–
–
–
–