Tuesday, December 2, 2025

সুনকের পথেই স্টার্মার! ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কোপে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা

Date:

Share post:

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে প্রথম তৎপর হয়েছিলেন প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। নির্বাচনে কনসার্ভেটিভ পার্টির (Conservative Party) পরাজয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল দেশের অবৈধ অনুপ্রবেশ নীতির, দাবি রাজনীতিকদের। তবে ক্ষমতায় এসেই অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে দেশের সাম্প্রতিককালের সবথেকে বড় আন্দোলন দেখেছেন লেবার পার্টির (Labour Party) প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার (Keir Starmer)। দেরিতে হলেও এবার অবৈধ অনুপ্রবেশ নীতি বিল আকারে এনেছে লেবার পার্টি। সেই মতো অনুপ্রবেশকারীদের উপর যথেচ্ছ বলপ্রয়োগ করতে পারে ব্রিটিশ পুলিশ। পার্লামেন্টে বিল পাশের পরই প্রথম কোপ পড়া শুরু ভারতীয় ব্যবসায়ীদের (Indian businessmen) উপর। আমেরিকা থেকে অনুপ্রবেশকারী ভারতীয়দের ফেরানোর প্রক্রিয়ার মাঝে ব্রিটেনের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

সম্প্রতি ব্রিটেনে (United Kingdom) পাশ হয়েছে বর্ডার্স বিল। সীমান্তে নতুন নীতি ও অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে বর্ডার সিকিউরিটি, অ্যাসাইলাম অ্যান্ড ইমিগ্রেশন বিল (Border Security Assylum and Immigration Bill) এনে চলতি অপরাধ প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছেন কিয়ের স্টার্মার। শুনতে এই নীতি অনেকটাই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের মতো হলেও সেখানে প্রথমে নিকটবর্তী আফ্রিকা ও ইউরোপের দেশগুলিকে টার্গেট করা হয়েছিল, যেখান থেকে প্রতিনিয়ত জলপথে অনুপ্রবেশ হয়ে থাকে। আর স্টার্মার (Keir Starmer) নিজের ভারত-বিরোধিতা তুলে ধরলেন ইংল্যান্ডের ভারতীয় ব্যবসায়িক (Indian businessmen) প্রতিষ্ঠানগুলির উপর তল্লাশি শুরু করে।

মূলত ভারতীয় রেস্তোঁরা, নেল বার (nail bar), মুদিখানা, গাড়ি ধোয়ামোছার কেন্দ্রগুলিকে লক্ষ্য করে তল্লাশি চালানো শুরু হয়। বলা বাহুল্য সর্বত্র এখন বেআইনি বসবাসকারী খুঁজে পাচ্ছে স্টার্মারের পুলিশ। জুলাই মাস থেকে অনুপ্রবেশকারী গ্রেফতারি ৩৮ শতাংশ বেড়েছে বলেও দাবি করা হয় প্রতিরক্ষা দফতর (Home department) সূত্রে। আমেরিকা থেকে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী ফেরার পরে এবার ইংল্যান্ডের পালা, আশঙ্কা রাজনীতিক বিশ্লেষকদের।

নিজেদের পিঠ বাঁচাতে যদিও স্টার্মার প্রশাসন দাবি করছে দেশের অপরাধী ধরতে এই বিলকে প্রয়োগ করা হচ্ছে পুলিশের মাধ্যমে। আদতে এই বিল অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ হবে বলেও দাবি বিরোধী কনসার্ভেটিভ পার্টির (Conservative Party)। তাঁদের দাবি, এই বিল অনুযায়ী শাস্তির বিধান অত্যন্ত দুর্বল। ফলে অনুপ্রবেশ আটকানো সম্ভব নয়। তবে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে স্টার্মার প্রশাসন ট্রাম্পের অনুকরণে অনুপ্রবেশকারীদের সারিবদ্ধ বন্দিদশার ছবি, ভিডিও প্রকাশ করছে। যা কার্যত আতঙ্ক তৈরি করছে অভিবাসী ভারতীয়দের মনে।

spot_img

Related articles

বুধেই ভাগ্য নির্ধারণ! বাংলাদেশে বসে ফেরার অপেক্ষায় অন্তঃসত্ত্বা সোনালি

বাংলাদেশে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। ফলে জেলমুক্তি ঘটেছে। কিন্তু নিজের দেশে, নিজের ঘরে ফেরা কবে? আজও জানেন না বীরভূমের...

প্রশাসনিক গতি ফেরাতে যাদবপুরে দুই মাসের অস্থায়ী রেজিস্ট্রার সেলিম বক্স মন্ডল

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম দীর্ঘদিন ধরে রেজিস্ট্রার শূন্য থাকার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছিল। কর্মসমিতির বৈঠক হলেও রেজিস্ট্রার অনুপস্থিত থাকায়...

শিল্প সম্মেলন থেকে কনক্লেভ: শিল্পের উন্নয়ন-খতিয়ানের সঙ্গে সূচি প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

কেন্দ্রের নির্দেশে নির্বাচন কমিশনের চাপিয়ে দেওয়া এসআইআর-এর কারণে নাজেহাল প্রশাসনিক আধিকারিকরা। শহর থেকে প্রত্যন্ত এলাকায় ভোটার তালিকা তৈরির...

বিবাদিবাগে সরে যাচ্ছে সিইও দফতর, ভোটের আগেই নজরদারিতে কড়াকড়ি

চলতি মাসের মধ্যেই নতুন দফতরে সরে যাচ্ছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) অফিস। কমিশন সূত্রে খবর, বিবাদিবাগে শিপিং...