দেউচা-পাঁচামির কয়লায় উৎপাদিত হবে ১০০ বছরের ‘পাওয়ার’! আগামিদিনে আরও সস্তা হবে বিদ্যুৎ : মুখ্যমন্ত্রী

আগামীদিনে বিদ্যুতের দাম আরও সস্তা হয়ে যাবে। বুধবার রাজ্য বাজেট পেশের পর সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি কীভাবে বিদ্যুৎ সস্তা করা সম্ভব তারও রূপরেখা জানালেন। এদিন দেউচা পাচামির কথা বলতে গিয়ে বিদ্যুতের দাম এবং সিইএসসি-র প্রসঙ্গ তুলে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, দেউচা-পাচামি থেকে আমরা যে কয়লা পাব, তাতে ১০০ বছর যে বিদ্যুৎ তৈরি করব, সেই পাওয়ারে আমাদের বিদ্যুতের দাম আগামীদিনে সস্তা হবে। সিইএসসির প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার বিদ্যুতের দাম না বাড়ালেও সিইএসসি বাড়ায়। মানুষকে অনেক ভুগতে হয়। ওটা আমাদের হাতে নেই। ওটা স্বশাসিত সংস্থা। সিপিএম সরকারে থাকাকালীন দিয়ে গিয়েছে। দিল্লির একটা কী বোর্ড আছে তার মাধ্যমে। যাই হোক ভবিষ্যতে বিদ্যুতের দাম অনেক কমে যাবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেউচা পাচামিতে অনেক ছেলেমেয়ে হোমগার্ডের চাকরি পেয়েছে। আদিবাসীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। যাঁরা টাকা চেয়েছেন দিয়েছি। এলাকায় বাড়ি, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল সব দিয়েছি। ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। এখন আমাদের জমিতেই কাজ হচ্ছে। আরও কিছু জমি লাগবে। বাকি জমি যাঁরা দেবেন তাঁরাও টাকা, বাড়ি সব পাবেন। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লাশিল্প হচ্ছে দেউচা পাচামিতে। আগামী প্রজন্ম ১০০ বছর যাতে লোডশেডিংয়ের সমস্যায় না ভোগে এবং বিদ্যুতের দাম যাতে না বাড়ে তাই এই প্রকল্প। কমপক্ষে ১ লক্ষ যুবক-যুবতী চাকরি পাবেন। কয়লা উৎপাদন হলে বিদ্যুতের দামও কমে যাবে।

পরিকল্পনা ও পরিষেবা

১) বিভিন্ন সাব-স্টেশনের ফাঁকা জমিতে ই-ভেহিকেল চার্জিং পরিকাঠামো উন্নয়ন করে ই-ভেহিকেল চার্জিং স্টেশন গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ১৮৮টি ই-ভেহিকেল চার্জিং স্টেশন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

২) পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে ১১২.৫ মেগাওয়াড ক্ষমতাসম্পন্ন গ্রাউন্ড মাউন্টেড সোলার পাওয়ার প্রোজেক্টের ইনস্টলেশনের কাজ শেষ হয়েছে। ৭৬.০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পুরুলিয়ার পিপিএসপি আপার ড্যামে ১০ মেগাওয়াড সৌর বিদ্যুৎ প্রজেক্টের আরও একটি কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।

৩) চলতি অর্থবর্ষে ২০২৪-২৫-এ রাজ্যে ৭,৯৩,৮৮৫ নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।

৪) বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর বিবিধ উন্নতির প্রয়োজনে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের যৌথ প্রকল্প ‘রিভ্যাম্পড্ ডিস্ট্রিবিউশন সেক্টর স্কিম গঠন করা হয়েছে।

৫) শুল্কে মূল্যবৃদ্ধি প্রশমিত করতে কৃষি সংক্রান্ত গ্রাহকসহ ১.৭৪ কোটি গৃহস্থ গ্রাহককে অগ্রিম ভর্তুকির সুবিধা দিতে রাজ্য সরকার চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিক পর্যন্ত ১,৪১৪.১১ কোটি টাকা দিয়েছে।

৬) ডিসেম্বর ২০২৪-এ দেওচা-পাচামি-দেওয়ানগঞ্জ-হরিণসিং কোল ব্লকের মাইন ডেভলপার অপারেটরের নির্বাচনের জন্য গ্লোবাল এক্সপ্রেশন অব্ ইন্টারেস্ট ক্লাস হয়েছে।

আরও পড়ুন- উত্তরের পাহাড়-সমতলের জন্য একাধিক ঘোষণা রাজ্য বাজেটে