পোস্ট অফিসে জমানো টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে। এই মামলায় এবার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের একটি মামলায় বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। পোস্ট অফিস প্রতারণা করেছে নাকি, পুলিশের তদন্তে গাফিলতি রয়েছে, তাও দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কারণ, এত দিন এই মামলার তদন্ত করছিল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ।

আদালতে মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, পোস্ট অফিস থেকে আমানতকারীদের লক্ষ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে। পোস্ট অফিস থেকে টাকা ফেরত না পেয়ে তিনি থানায় গেলেও পুলিশি সহযোগিতা করেনি। এর পরই আদালতের দ্বারস্থ হন। জানুয়ারির শেষে এই মামলার শুনানি হয়েছিল। তখন আদালত জানিয়েছিল, পুলিশ এই অভিযোগ পেয়ে কী পদক্ষেপ করেছে, তদন্ত কত দূর এগিয়েছে তার রিপোর্ট দিতে।এদিন বিচারপতি ঘোষের পর্যবেক্ষণ, মানুষ কষ্ট করে উপার্জন করা টাকা সঞ্চয়ের জন্য গচ্ছিত রাখছেন, আর তা লোপাট হয়ে যাচ্ছে? পুলিশ কিছুই করছে না। এ ভাবে ডাকঘর থেকে টাকা উধাও হয়ে গেলে পুলিশ যদি কোনও পদক্ষেপই না করে, মানুষের ভরসা উঠে যাবে। গত দেড় বছর ধরে জামালপুর থানা কিছুই করেনি।

বিচারপতি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানে টাকা রেখে মানুষ যদি প্রতারিত হয়, তা হলে তারা কোথায় যাবেন? এর পরই বিচারপতি এই মামলা পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের হাত থেকে নিয়ে এডিজি সিআইডিকে হস্তান্তর করেন। নির্দেশ দেন, এই মামলায় দায়িত্বে থাকা দুই তদন্তকারী অফিসারকে ডেকে পাঠাতে হবে এডিজি সিআইডিকে। দু’জন এই তদন্তে কী পদক্ষেপ করেছেন, তার ব্যাখ্যা নিতে হবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই তদন্ত শেষ করতে হবে বলেও নির্দেশ দেয় আদালত।

–
–

–

–

–

–

–

–

–
–