উত্তর ২৪ পরগনার ছায়া যেন হুগলিতে না পড়ে। সতর্ক CPIM। আশঙ্কায় শেষে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu) আসরে নামল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। ডানকুনিতে ২৭ তম রাজ্য সম্মেলনের আগে দলের ফেসবুক পেয়ে পোস্টে বিমান লেখেন, ডানকুনিতে সম্মেলন পার্টির নিয়মনীতি মেনে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলেই প্রত্যাশা করেন।

উত্তর ২৪ পরগনার সিপিআইএম কর্মীদের অপছন্দের কারণ হয়ে দাঁড়ানো বিদায়ী জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তীকে (Mrinal Chakraborty) আবারও জেলা সম্পাদক করার পরিকল্পনা করে ফেলেছিল রাজ্য কমিটি। শেষ পর্যন্ত চাপিয়ে দেওয়া নেতৃত্বকে মেনে না নিতে অনড় কর্মীদের চাপে এবারের জেলা কমিটি থেকেই বাদ পড়ে গেলেন সেই বিদায়ী জেলা সম্পাদক। ভোটাভুটিতে সবথেকে কম ভোট পান তিনি। জেলা স্তর থেকে নিজেদেরই কর্মীদের প্রতিরোধের মুখে সিপিআইএম নেতৃত্ব। রাজ্য নেতৃত্ব, এমনকি পলিটব্যুরো সদস্যদের অনুরোধেও কাজ হয়নি। রাজ্য সম্মেলনেও কি দলীয় কোন্দল ভোটাভুটিতে গড়াবে? আশঙ্কায় কি ভুগছেন খোদ বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান! ২৭ তম রাজ্য সম্মেলনের আগে দলের ফেসবুক পেজে বিমান বসুর (Biman Basu) পোস্টে তেমনই জল্পনা।

দলের ফেসবুক পেজে বিমান লেখেন,
“ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র ২৭ তম ডানকুনি সম্মেলন পার্টির নিয়মনীতি মান্য করে গঠনমূলক আলোচনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে জেলায় জেলায় পার্টির শক্তিকে সংহত করে প্রসারিত করবে প্রত্যাশা করছি। প্রত্যাশা করছি সিপিআই (এম)’র শক্তি বৃদ্ধি করে সত্যিকারের বামপন্থীদের যুক্ত আন্দোলনকে প্রসারিত করতে ২৭তম সম্মেলন সফল হবে। তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী অসাম্প্রদায়িক শক্তির উন্মেষ ঘটাতে আমরা সহ অন্য বামপন্থীদের গভীর আত্মজিজ্ঞাসার মুখোমুখি হয়ে সঠিক বোঝাপড়ায় পৌঁছাতেই হবে। এই কঠিন এবং জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে নতুনভাবে আমাদের শক্তির বিন্যাস ঘটাতেই হবে।”
আরও খবর: ‘বাসন্তী’কে বিয়ে করতে চেয়ে মোবাইল টাওয়ারের মাথায় ইংরেজবাজারের ‘বীরু’

২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন। ডানকুনিতে চারদিনের সম্মেলন শেষে ২৫ তারিখ প্রকাশ্য সমাবেশ। দলের অভ্যন্তরের ‘বিদ্রোহ’-র আঁচ ছড়াতে পারে রাজ্য সম্মেলনেও। সেই আশঙ্কা থেকেই বর্ষীয়ান বিমান বসুকে দিয়েই পোস্ট করা হচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

–

–

–

–

–

–

–
