নগরোন্নয়ন দফতরের আওতায় থাকা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগী রাজ্য। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানিয়েছেন, শূন্য পদের কারণে পরিষেবায় কিছু সমস্যা হচ্ছে। তাই দ্রুত শূন্যপদ পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সোমবার বিধানসভায় (Assembly) তৃণমূল (TMC) বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ফিরহাদ জানান, শহুরে নাগরিকদের স্বাস্থ্যপরিষেবার ক্ষেত্রে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা ওয়েলনেস সেন্টার গুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

এই মুহূর্তে রাজ্যে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের আওতায় রয়েছে ৯৮৩ টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এছাড়া ২২২টি হেলথ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ইউনিট ৪৫ টি স্পেশালিটি আউটডোর সেন্টার। ফিরহাদ জানান, এই মুহূর্তে রাজ্যে তাঁর দফতরের আওতায় ৪২টি রয়েছে মাতৃসদন যার বেড সংখ্যা ৭১৬ টি। ২০২১-২২ সালে নগর উন্নয়ন দফতরের তরফ থেকে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আওতায় আর্বান হেলথ সেন্টার তৈরির বিষয়ে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেইমতো বর্তমানে রাজ্যে ৭০৩ টি আর্বান হেলথ সেন্টারের মধ্যে চালু রয়েছে ৫৩২ টি। এর মধ্যে যেমন কিছু স্থায়ী ঠিকানায় চালু রয়েছে। আবার কতকগুলি ভাড়া করা ঠিকানায় চালু রয়েছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন এছাড়া আরও ২০০ আর্বান হেলথ সেন্টার তৈরির জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে দফতরের তরফ থেকে তা তৈরি করা হবে। তিনি জানান, এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে এই মুহূর্তে চিকিৎসকের সংখ্যা ১৬৯১ এবং নার্সের সংখ্যা ৭৪৭ জন।

মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল শেষ পাঁচ বছরে এ ধরনের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সংখ্যা কত বৃদ্ধি পেয়েছে। জবাবে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ৫৩২ টি হেলথ সেন্টার অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার এই মুহূর্তে স্থায়ী বা অস্থায়ী ঠিকানায় চালু রয়েছে। এছাড়া ১৭১ টি এ ধরনের প্রতিষ্ঠান তৈরি রয়েছে যেগুলি আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। এইসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে বর্তমানে চিকিৎসকের সংখ্যা শূন্য রয়েছে ১০২৫, নার্সের সংখ্যা খালি রয়েছে ৫১২ টি।

এই শূন্য পদ পূরণের বিষয়েও মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী জানিয়েছেন, আপাতত গোটা বিষয়টি অর্থ দফতরের মঞ্জুরীর অপেক্ষায় রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি চালানোর জন্য অস্থায়ী চিকিৎসক নিয়োগের পথে হাঁটছে দফতর। তাদের মাধ্যমেই এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে যে লোক সংখ্যার কমে সমস্যা রয়েছে তা মোকাবিলা করা হবে। এদিন তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব সরকার এই হেলথ সেন্টার বা ওয়েলনেস center গুলিতে নাইট গার্ড ও সুইপারের অভাবের বিষয় উল্লেখ করেন। মন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় তাকে জানিয়ে দেন এর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট পুরসভাকেই নিতে হবে। সবকিছু সরকারের পক্ষে করা সম্ভব নয়।

–

–

–

–

–

–

–
