রিজার্ভেশন টিকিট থাকা সত্ত্বেও ট্রেনে উঠতে পারেননি শ্রীরামপুরের ২৯ জন পর্যটক।হাজার হাজার টাকা খরচ করে গাড়ি ভাড়া করে বাড়ি ফিরলেন। রেলের বিরুদ্ধে চরম অব্যবস্থার অভিযোগ তুলেছেন তারা।গত ৯ ফেব্রুয়ারি ট্রেন ধরে পরদিন অযোধ্যায় পৌঁছান শ্রীরামপুরের ২৯ জন পর্যটক।তাদের মধ্যে অধিকাংশ প্রবীন মহিলা।অযোধ্যা থেকে বেনারস কাশি বিশ্বনাথ ঘুরে গত ১৪ তারিখ প্রয়াগে মহাকুম্ভে পূন্যস্নান করেন তারা।১৫ তারিখ বিকাল ৪.১০ মিনিটে দূন এক্সপ্রেসে টিকিট ছিল। সেই গাড়ি স্টেশনে ঢোকে সন্ধ্যা সাতটায় ছাড়ে রাত নটায়।তাও সেই ট্রেনে উঠতে পারেননি পর্যটকরা।চেষ্টা করেও ট্রেনের কামরার সামনে যেতে পারেননি।

শ্রীরামপুর মরাদানের বাসিন্দা তরুন কোলে জানান,তার আত্মীয় ও বন্ধুদের পরিবার মাঝেমধ্যে বেড়াতে যান।কুম্ভে যাওয়ার জন্য দু মাস আগে ট্রেনে টিকিট কাটেন।স্লিপারে ২০ জনের টিকিট ছিল।বাকিদের এসিতে।নয় জন কোনওভাবে ট্রেনে উঠতে পারলেও বাকি ২০ জন উঠতেই পারেননি।সারা রাত বেনারস স্টেশনে কাটিয়ে পরদিন কুম্ভ স্পেশালে মুঘলসরাই স্টেশনে পৌঁছান কোনও ভাবে।সেখান থেকে যদি কোনও ট্রেন পাওয়া যায়।কিন্তু সেখানের অবস্থা আরও খারাপ।বাস স্ট্যান্ডে বাস না পেয়ে অবশেষে একটি ইনোভা দুটি বোলেরো গাড়ি তারা ভাড়া করেন ৭২ হাজার টাকা দিয়ে। মঙ্গলবার ভোরে বাড়ি ফেরেন।

তরুনবাবু বলেন,কোনও আর পি এফ নেই,টিটি নেই,নিরাপত্তা দেখার কেউ নেই।মানুষ মরল কি বাঁচল দেখার কেউ নেই।চরম অব্যবস্থার ছবি সর্বত্র।ট্রেনের টিকিট থাকা সত্ত্বেও ট্রেনে উঠতে পারিনি।পর্যটক সুজাতা ঘোষাল বলেন,হেঁটে যতটা ঘুরেছি তার থেকে ট্রেনে বেশি কষ্ট সহ্য করেছি।এত টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়ে ফিরতে হবে ভাবিনি।

–

–

–

–

–

–

–

–

–