কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ, কড়া পদক্ষেপ নেবে কলেজ কর্তৃপক্ষ

ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে। যা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।এবার ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ দায়ের হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ঘটনায়। এখানের সিনিয়ররা র‌্যাগিং করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনই অভিযোগ দায়ের করেছেন এক দ্বিতীয়বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়া। সেই অভিযোগ ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে ন্যাশানাল মেডিক্যাল কমিশনেও। বিষয়টি নিয়ে অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটির বৈঠক পর্যন্ত হয়। আর ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে উপাধ্যক্ষ ডা.‌ অঞ্জন অধিকারী। এই ঘটনা এখন গোটা হস্টেল–সহ পড়ুয়াদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। তার জেরে একটা আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। উপাধ্যক্ষ ডা.‌ অঞ্জন অধিকারীর সামনেই ওই দ্বিতীয়বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়া ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন। তা নিয়ে এখন চর্চা তুঙ্গে। ওই ছাত্রের অভিযোগ, তিনজন সিনিয়র ডাক্তারি পড়ুয়া র‌্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িত।

ওই পড়ুয়ার অভিযোগ, তাকে নিয়মিত শাসানো হত। এই শাসানি প্রথমে থেমে যাবে ভেবেছিলেন। কিন্তু সেটা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তাকে কদিন আগে নিগ্রহ পর্যন্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সিনিয়ারদের কথা না শুনলে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এরপরই বিষয়টি জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনে জানিয়ে দিয়েছেন ওই দ্বিতীয়বর্ষের পড়ুয়া। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটির পক্ষ থেকে সবটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালেই ব়্যাগিয়ের অভিযোগ তোলপাড় হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। হস্টেলে এক প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুকে ঘিরে উত্তাল হয়েছিল গোটা রাজ্য। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ওই দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াকে কেমনভাবে ব়্যাগিং করা হয় সেটা এখনও সামনে আসেনি। তবে এমন কিছু করা হয়েছে যা ওই ছাত্রের সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। যেটুকু জানা গিয়েছে তাতে দ্বিতীয় বর্ষের ওই পড়ুয়াকে হস্টেলের মধ্যে হেনস্থা করা হচ্ছে দিনের পর দিন। এই র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ নিয়ে অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটি চারবার বৈঠকে বসল। চতুর্থ দিনেও ওই দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র নিজের অভিযোগে অনড়। আরও একটি বৈঠক হবে। সেখানে অভিযোগ যদি সত্য প্রমাণ হয় তাহলে অভিযুক্ত সিনিয়রদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।