কলুষিত মন ইউটিউবারের, তাঁর ভাষাকে সমর্থন! অভিনব চন্দ্রচূড়কে কটাক্ষ সুপ্রিম কোর্টের

এটা যদি অশ্লীলতা (obscenity) না হয় তাহলে কোন বক্তব্যকে অশ্লীলতা বলা যাবে। আইনজীবীর তুলে ধরা উদাহরণের প্রক্ষিতে যা খুশি তাই বলার অনুমতি পাওয়া যায় কি

ইউটিউবার রণবীর এলাহাবাদিয়ার (Ranveer Allahabadia) মামলায় ভাষা নিয়ে কড়া সমালোচনা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। বাক-স্বাধীনতার নামে যা খুশি তাই বলা হয়েছে বলেও পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের। এই মামলায় রণবীরের পক্ষে দাঁড়ানো আইনজীবী প্রাক্তন সুপ্রিম কোর্ট প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (D Y Chandrachud) পুত্র, অভিনব চন্দ্রচূড়কেও (Abhinav Chandrachud) বিচারপতির কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় এই ধরনের বক্তব্যকে সমর্থন কীভাবে করেন তিনি, তা নিয়ে। যদিও এই মামলায় দেশের আর কোথাও এফআইআর দায়েরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে কোনওভাবেই তদন্ত চলাকালীন দেশের বাইরে যেতে পারবেন না এলাহাবাদিয়া, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।

সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি কোটিশ্বর সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চে সোশ্যাল মিডিয়ায় রিয়ালিটি শো-তে (reality show) অমাননাকর মন্তব্যের মামলার শুনানিতে কড়া প্রতিক্রিয়া আদালতের (Supreme Court)। আইনজীবী অভিনব চন্দ্রচূড়কে (abhinav Chandrachud) প্রশ্ন করা হয়, তিনি কী এই ভাষাকে সমর্থন করছেন। অভিনব দাবি করার চেষ্টা করেন, তিনি এমন কিছু বলেননি যা ফৌজদারি আইনে অপরাধ। পাল্টা আদালতের পর্যবেক্ষণ, এটা যদি অশ্লীলতা (obscenity) না হয় তাহলে কোন বক্তব্যকে অশ্লীলতা বলা যাবে। আইনজীবীর তুলে ধরা উদাহরণের প্রক্ষিতে যা খুশি তাই বলার অনুমতি পাওয়া যায় কি, পাল্টা প্রশ্ন আদালতের।

এই প্রসঙ্গেই আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইউটিউবারের (Youtuber) মাথায় সাংঘাতিক কলুষিত কিছু চলছে, যা তিনি ওই শো-তে উগরে দিয়েছেন। সে বাবা-মায়েদেরও অপমান করেছে। আদালত কেন তাঁর পক্ষ নেব, প্রশ্ন বিচারপতি সূর্য কান্তের।

দেশের তিনটি রাজ্যে এলাহাবাদিয়ার নামে এফআইআর দায়ের হওয়ার পরেও বিভিন্ন ভাবে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁর পরিবার, বিশেষত তাঁর মা-এর উপর হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে, এমনটা তুলে ধরেন আইনজীবী চন্দ্রচূড়। সেখানেই আদালতের পর্যবেক্ষণ, তিনি এমন কাজ করেছেন যার জন্য তাঁর বাবা-মাকে লজ্জিত হতে হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য সব মা-বোন-মেয়েদের লজ্জা দিয়েছে। সেই সঙ্গে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, রণবীর সস্তার প্রচারের লোভে বাজে কথা বলেছেন। তাঁকে বাজে কথা বলে আরও কেউ সস্তার প্রচার (cheap publicity) পাওয়ার চেষ্টা করছেন। সেটা আরও অন্যায়।

যে সস্তার প্রচার পাওয়ার জন্য রণবীর ওই ধরনের কথা বলেছিলেন, তা তিনি কোথা থেকে ধার করেছিলেন সে সম্পর্কেও আদালত অবহিত, জানান বিচারপতি কান্ত। এই মামলা চলাকালীন তিনি এবং এই ঘটনায় তাঁর সহকারী অভিযুক্তরা কোনওভাবেই কোনও কন্টেন্ট সম্প্রচার করতে পারবেন না বলে নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।