সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে ‘পড়ে থাকা’ টাকার অঙ্ক প্রায় ৫৮৩ কোটি! তৎপরতা তুঙ্গে

দীর্ঘদিন একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেন না হলে তাকে ‘ডরম্যান্ট’ বলে ধরা হয়।

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে অনেক ভুয়ো অ্যাকাউন্টে(account) হিসেব বহির্ভূত টাকা রয়েছে। এই সব অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই শুরু হয় তৎপরতা।
দীর্ঘদিন ধরে লেনদেন না হওয়ায় অ্যাকাউন্টগুলিতে কত টাকা পড়ে আছে? জানা গিয়েছে, সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে ‘পড়ে থাকা’ টাকার অঙ্কটা প্রায় ৫৮৩ কোটি। তার থেকেও চমকে যাওয়ার মতো বিষয় হল—ডিপোজিট অ্যাকাউন্টের অনুমতি রয়েছে, এমন একেবারে সাধারণ স্তরের অধিকাংশ প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতি বা প্যাক্সের খাতাতেই রয়েছে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা। দীর্ঘদিন একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেন না হলে তাকে ‘ডরম্যান্ট’ বলে ধরা হয়।

গত ৩ জানুয়ারি সব সমবায় ব্যাঙ্ক(bank) কর্তৃপক্ষকে ‘রেজিস্ট্রার অব কো-অপারেটিভ সোসাইটিস’-এর স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠায় সমবায় ডিরেক্টরেট। সেখানে ‘ডরম্যান্ট’, ‘ডেফ’ বা  দীর্ঘদিন লেনদেন না হওয়া অ্যাকাউন্টগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়। সেইসঙ্গে গ্রাহকদের কেওয়াইসি সংক্রান্ত তথ্যও। জেলা সূত্রে খবর, এই সব তথ্যই প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। সূত্রটি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতিতে কেওয়াইসি জমা পড়েছে ৭৬.৫ শতাংশের। সর্বাধিক ৯৬ শতাংশ কেওয়াইসি হয়েছে রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক এবং জেলা সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কগুলিতে। আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কগুলিতে পরিসংখ্যানটা ৭২.৪৮ শতাংশ। আর, রাজ্য এবং প্রাইমারি স্তরের সমবায় কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্কগুলিতে কেওয়াইসি জমা হয়েছে ৬১.৮২ শতাংশের। সূত্রের খবর, চলতি অর্থবর্ষের মধ্যেই গ্রাহকদের কেওয়াইসি সংক্রান্ত কাজ যতদূর সম্ভব শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আর্থিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়ম অনুযায়ী রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক, ডিস্ট্রিক্ট সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক এবং আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কগুলির ‘ডরম্যান্ট’ অ্যাকাউন্টে পড়ে থাকা টাকা আরবিআইয়ের নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা।