কুম্ভের জল পানের যোগ্য: কেন্দ্রের রিপোর্টকেই চ্যালেঞ্জ যোগীর!

আদালতের বিরুদ্ধেও ধর্মীয় আক্রমণে যোগী আদিত্যনাথ। নিজের রাজ্যের তথ্য পেশ করতে গিয়ে ব্যাকটিরিয়ার (bacteria) রিপোর্ট এড়িয়ে যান

ন্যাশানাল গ্রিন ট্রাইবুনালের (NGT) দাবিকেই নস্যাৎ করে দেওয়ার চেষ্টা উত্তরপ্রদেশ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath)। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে প্রয়াগরাজের সংগমের জলদূষণ নিয়ে কেন্দ্রের রিপোর্টকেই চ্যালেঞ্জ করলেন ডবল ইঞ্জিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এনজিটি-কে মিথ্যা প্রমাণ করতে তৎপর যোগী ধর্মীয় আবেগ টেনে এনে দাবি করেন, মহাকুম্ভের (Mahakumbh) শুরু থেকে বদনাম করার চেষ্টা করেছে এনজিটি।

মঙ্গলবারই ন্যাশানাল গ্রিন ট্রাইবুনাল (NGT) প্রশ্ন তোলে, নির্দেশ মেনে কেন সপ্তাহে দুইদিন জলের দূষণ পরীক্ষা করা হয়নি উত্তরপ্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ দফতরের (UPPCB) তরফে। কেন শুধুমাত্র একটি চিঠি পেশ করে, তাতে যথাযথ তথ্য না দিয়ে দায় সেরেছে দফতর প্রশ্ন তোলেন বিচারক। তলব করা হয় দফতরের আধিকারিকদের। অথচ সেই শুনানিতেই স্পষ্ট তুলে ধরা হয় কীভাবে সংগমের জলের দূষণ মাত্রা ছাড়িয়েছে। কেন্দ্রের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (CPCB) তথ্য তুলে ধরা হয় সেখানে। যেখানে প্রতি ১০০ মিলিলিটার জলে ফেকাল কলিফর্ম ব্যাকটিরিয়ার (faecal coliform) উপস্থিতি ৫০০ এমএনপি হলে তা সর্বোচ্চ দূষণের মাত্রা ছোঁবে, সেখানে সংগমের জলে এই ব্যাকটিরিয়ার (bacteria) মাত্রা ৭০০০ এমএনপি ছাড়িয়েছে।

এনজিটি এই রিপোর্ট দিয়ে গোটা দেশের সামনে যোগী রাজ্যে পুণ্যার্থীদের জন্য অব্যবস্থার ছবি স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরই আদালতের বিরুদ্ধেও ধর্মীয় আক্রমণে যোগী আদিত্যনাথ। নিজের রাজ্যের তথ্য পেশ করতে গিয়ে ব্যাকটিরিয়ার (bacteria) রিপোর্ট এড়িয়ে যান তিনি। সেই সঙ্গে দাবি করেন তাঁর দফতর ক্রমাগত জলের দূষণ পরিমাপ করে চলেছে। অথচ সেখানে দূষণ নিয়ে কোনও তথ্যই পেশ করা হয়নি। আবার তিনি দাবি করেন, তাঁর দফতরের তথ্য অনুযায়ী সঙ্গমের জল স্নান তো বটেই, আচমনেরও উপযুক্ত।

সঙ্গমে মল-মূত্রের দূষিত জল প্রবেশের কারণও ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন তিনি। সেই সঙ্গে দাবি করেন ফেকাল ব্যাকটিরিয়া নিয়ে ন্যাশানাল গ্রিন ট্রাইবুনাল (NGT) মিথ্যা প্রচার চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছে মহাকুম্ভ নিয়ে।