পানামার এক হোটেলে বন্দি অন্তত ৩০০ জন ‘অবৈধ অভিবাসী’। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসীদের বিতাড়ন অভিযান শুরু করেছেন।এরপর থেকে তাদের এখানে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ভারতীয় নাগরিক আছেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া এই অভিবাসীদের মধ্যে ইরান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চিন-সহ ১০ এশীয় দেশের নাগরিক আছেন বলে জানা গিয়েছে। এই দেশগুলির কয়েকটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি অভিবাসীদের পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা আছে। তাই পানামাকে ‘স্টপওভার’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

অদ্ভূতভাবে এই আটক অভিবাসীদের হোটেলের ঘর ছাড়ার অনুমতি নেই। কবে তারা দেশে ফিরে যাবেন, তার জন্য অপেক্ষা করছে পানামা সরকার। তবে জানা গিয়েছে, এই বন্দি অভিবাসীদের মধ্যে ৪০ শতাংশেরও বেশি তাদের নিজ দেশে ফিরতে চান না। কারণ তারা নিজ দেশে সুরক্ষিত থাকবেন না বলে মনে করছেন।পানামার নিরাপত্তামন্ত্রী ফ্রাঙ্ক আব্রেগো জানিয়েছেন, পানামা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি অভিবাসন চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তি অনুযায়ী, এই বিতাড়িত অভিবাসীদের জন্য ট্রানজিট দেশ হতে রাজি হয়েছে পানামা। তবে অভিবাসীদের বিতাড়নের সমস্ত খরচ বহন করবে আমেরিকা। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বন্দি অভিবাসীরা চিকিৎসা এবং খাবার দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে ৩০০ বিতাড়িত অভিবাসী এসেছিলেন পানামায়। তাদের মধ্যে এক আইরিশ নাগরিক ইতিমধ্যেই নিজ দেশে ফিরে গিয়েছেন। বাকি ২৯৯ জনের মধ্যে ১৭১ জন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের অভিবাসী সংস্থার সহায়তায় তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে রাজি হয়েছেন।বাকি ১২৮ জন নিজেদের দেশে ফিরতে নারাজ। তাদের জন্য অন্য দেশ খুঁজছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। তারা কোন দেশে যেতে চান, তা জানতে এই অভিবাসীদের সঙ্গে কথা বলছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। এই অভিবাসীদের অনেককে হোটেল ঘরের কাচের জানালায় ‘সাহায্য’ প্রার্থনা করতে দেখা গিয়েছে। অনেকে রক্ত দিয়ে লিখেছে, ‘আমরা আমাদের দেশে নিরাপদ নই’।ইতিমধ্যে প্রথম দফায় ১০৪ জন, দ্বিতীয় দফায় ১১৬ জন এবং তৃতীয় দফায় ১১২ জন অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয়দের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে আমেরিকা। এই সকল নাগরিক পাঞ্জাব, হরিয়ানা ছাড়াও গুজরাত, হিমাচল, উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা।

–
–

–

–

–

–

–

–
