শোভন-রত্নার ডিভোর্স মামলায় হাই কোর্টের শুনানিতে কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের হয়ে ঝড় তুললেন বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। শুক্রবার, বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের এজলাসে তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের (Ratna Chatterjee) বিরুদ্ধে প্রভাবশালী তত্ত্ব এনে শোভনকে অকারণ হয়রান করার অভিযোগ তোলেন কল্যাণ। রত্নার বিরুদ্ধে তাঁরই দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ তুলে সওয়াল করেন শোভনের আইনজীবী। তুলে ধরনের দীর্ঘদিন ধরে শোভনের অসুবিধার কথাও।

এদিন সওয়াল করতে গিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) বলেন, “সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেছিলেন কোনওমতেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ডিভোর্স দেবেন না। যে কারণেই এইভাবে নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়াকে বারবার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রভাবশালী না হলে এটা কীভাবে সম্ভব?”

তৃণমূল ছাড়ার পরে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে BJP-তে যোগ দিয়েছিলেন শোভন। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পরে সেই দল ছাড়েন তাঁরা। এরপর বহুবার শোভন এর শোভনের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও তা বাস্তবে পরিণত হয়নি। দীর্ঘদিন ধরেই বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে শোভনের। ডিভোর্স দিতে নারাজ রত্না। বিচ্ছেদের দাবিতে অনড় শোভন। এতদিন সে মামলা ছিল আলিপুর আদালতে। একাধিকবার রত্নার বিরুদ্ধে শুনানিতে ইচ্ছাকৃত দেরির অভিযোগ করেন শোভন। সম্প্রতি নিম্ন আদালতের একটি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের মামলা করেন রত্না। বুধবার বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের এজলাসে মামলার শুনানি হয়। সেখানেই শোভনের পক্ষে মামলা লড়েন কল্যাণ।

প্রায় আট বছর ধরে চলা ডিভোর্স মামলায় রত্নার ভাষা ও তাঁর তাগিদ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কল্যাণ। তিনি বলেন, যিনি বিচ্ছেদ চাইছেন না, তিনি (রত্না) কেন মামলায় দীর্ঘসূত্রিতা করছেন! যেভাবে কোর্টরুমে শুনানিতে রত্না আচরণ করেন তার দিকে বিচারপতির দৃষ্টি আকষর্ণ করেন শোভনের আইনজীবী। প্রায় আড়াই ঘণ্টার সওয়াল-জবাবে রত্নার আইনজীবীদের কার্যত চুপ করিয়ে দিয়েছেন কল্যাণ- দাবি প্রাক্তন মেয়রের ঘনিষ্ঠ মহল। দু’পক্ষের সওয়ালে ২৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার রায় দেওয়া হবে বলে জানান বিচারপতি। ৩ মার্চ পর্যন্ত নিম্ন আদালতের বিচারপ্রক্রিয়ার স্থগিতাদেশ থাকছে বলেও জানানো হয়।

–

–

–

–

–

–
