এ বারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় এআই অ্যাপের মাধ্যমে হয়েছে টোকাটুকির চেষ্টা। পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে গিয়ে ধরা পড়েছে ১৯ জন পরীক্ষার্থী। আবার কয়েকজন পরীক্ষার্থী সরাসরি প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে প্রাইভেট টিউটরকে পাঠিয়ে দেয়। তাদের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এমনকী মোবাইল ব্যবহারের অভিযোগে আরও পাঁচ পড়ুয়ার বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। পরীক্ষা শেষে এই তথ্য দিল মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ।

শনিবার পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, আগের বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ধরা পড়েছিল ৪৩ জন। এ বার পরীক্ষা অন্যান্য বারের তুলনায় ‘নির্দ্বিধায়’ মিটেছে। সেই সঙ্গে এ-ও জানিয়েছেন, পরীক্ষার ৯০ দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশ করা হবে। পর্ষদ সূত্রে খবর, দক্ষিণ কলকাতার বদরতলার হাইস্কুলের এক পড়ুয়া পরীক্ষা দিচ্ছিলেন বড়তলা হাইস্কুলে । তিনি অঙ্ক পরীক্ষার দিন কঠিন নজরদারি এড়িয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে পড়েন । কোশ্চেন পেপার হাতে পাওয়ার পর সেই প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বা এআই মোবাইল অ্যাপে আপলোড করেন । মূহূর্তে মিলেও যায় উত্তর । তা দেখে লেখাও শুরু করেছিলেন ওই ছাত্র । কিন্তু পরীক্ষা হলের পর্যবেক্ষকের নজর এড়ায়নি বিষয়টি । তিনি ছাত্রটিকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এরপরেই ওই ছাত্রের অঙ্ক পরীক্ষা সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়।

পর্ষদ আরও জানিয়েছে এই বছর প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে সাফল্য এসেছে। যদিও পরীক্ষা চলাকালীন এই বছর উদ্ধার হয়েছে ১৯টি মোবাইল ফোন। একজনের থেকে উদ্ধার হয়েছে স্মার্টওয়াচ। যার জন্য এই বছর বাতিল হয়েছে মোট ২০ জনের পরীক্ষা। তার মধ্যে মোট ছ’জনের ফোন থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রশ্নপত্রের ছবি। অঙ্ক পরীক্ষার দিন একজন পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে পাঠিয়েছিলেন সিনিয়র পড়ুয়াকে। অন্যদিকে আরেকজন প্রশ্নপত্র ছবি তুলে পাঠিয়েছে বন্ধুকে। অন্যদিকে আর তিনজন পরীক্ষার্থী ছবি তুলে পাঠিয়েছেন গৃহশিক্ষককে। তবে প্রশ্নপত্রের ছবি তোলার ঘটনা ঘটে থাকেলও প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি বলে পর্ষদ কর্তাদের দাবি ।

আরও পড়ুন- গঙ্গার নীচে ফের সুড়ঙ্গ! মেট্রোর পর এবার চলবে পণ্যবাহী গাড়ি


_

_

_

_

_

_

_
