মোদি জমানায় কর্মসংস্থান দূরস্ত, বন্ধ দেশের ৩৫ শতাংশ কোম্পানিই

নামেই আচ্ছে দিন। মোদির বিকশিত ভারতের বেলুন এখন চুপসে গিয়েছে। প্রচার সর্বস্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(narendra modi) জমানায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে নথিভুক্ত ৩৫ কোম্পানি। ফলে কাজ হারিয়েছেন বহু শ্রমিক। চাকরি ও কর্মসংস্থানের যে বুলি এতদিন তিনি আওড়ে গিয়েছেন, তা মিথ্যা প্রতিপন্ন হয়েছে।

সম্প্রতি যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে, তা কেন্দ্রের দেওয়া রিপোর্টই। কেন্দ্রের তথ্য বলছে, দেশে ২৮ লক্ষ ৫ হাজার কোম্পানির মধ্যে চালু রয়েছে ১৮ লক্ষ ১৭ হাজার। অর্থাৎ প্রায় ১০ লক্ষ কোম্পানিতে তালা পড়েছে। যে ১৮ লক্ষ ১৭ হাজার কোম্পানি চালু রয়েছে, তাঁর মধ্যে ১০ হাজার ৪২৫টি সংস্থা লিকুইডেশন পর্বের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ সেগুলিতেও তালা ঝুলতে চলেছে শীঘ্রই। সাকুল্যে প্রায় ৩৫ শতাংশ কোম্পানিরই ঝাঁপ বন্ধ হওয়া এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
রেজিস্ট্রার অব কোম্পানির আওতায় নথিভুক্ত এইসব সংস্থাগুলির মধ্যে বেসরকারি মালিকানার পাশাপাশি রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাও। ৯৬ শতাংশ বেসরকারি(private) মালিকানাধীন। বাকি চার শতাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত। তবে ওই চার শতাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার হাতেই রয়েছে ৬২ শতাংশ মূলধন। নথিভুক্ত সংস্থার মধ্যে বিদেশি কোম্পানি রয়েছে ৫ হাজার ২১৬টি। তার মধ্যে চালু রয়েছে ৩ হাজার ২৮১টি সংস্থা।
কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রক বলছে, দেশজুড়ে ৩৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে সব থেকে বেশি ১৯ শতাংশ সংস্থা চালু রয়েছে মহারাষ্ট্রে। এরপর দিল্লিতে ১৪ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশ। দেশের সচল সংস্থার আট শতাংশ বাংলার দখলে। যোগীরাজ্যের হাতেও রয়েছি আট শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গের সচল কোম্পানির সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৪৬ হাজার। কেন্দ্রের রিপোর্টই বলছে শুধুমাত্র গত জানুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে ৮০৮টি সংস্থা ব্যবসা চালু করেছে। গোটা দেশে সংখ্যাটা ১৬ হাজার ৭৮১টি। উল্লেখ্য, এই তালিকায় ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প বা এমএসএমই অন্তর্ভুক্ত নয়।
অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে কোম্পানি বন্ধের সংখ্যা কম। বার্ষিক আর্থিক হিসেব পেশ করতে না পেরে ‘ডরম্যান্ট’ কোম্পানি হয়ে যাচ্ছে বেশি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেই। এই প্রবণতা দেশের অর্থনীতির পক্ষে আদৌ মঙ্গলজনক নয়।