Sunday, August 24, 2025

দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার কৃষিজীবীদের পাশে দাঁড়িয়ে বড়সড় পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। সাম্প্রতিক কালে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ৯ লক্ষেরও বেশি কৃষককে বাংলা শস্য বিমার  আওতায় ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩৫১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, খরিফ মরশুমে  প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, তারাই পেয়েছেন এই অর্থ। গত বছর ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ এবং ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হয়ে যেসব কৃষকদের ফসল নষ্ট হয়েছিল, তারাই মূলত এই ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন বলে কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।  ডিভিসি’র ছাড়া জলে হুগলি, হাওড়া ও বর্ধমান জেলায় ধান চাষের ক্ষতি হয়েছিল।

দেশের মধ্যে এ রাজ্যেই প্রথম ‘ইসরো’র উপগ্রহ চিত্রের সাহায্যে ফসলের ক্ষতির মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ফলে অনেক দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি চিহ্নিত করে চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি সরকারের। এদিকে রবি এবং বোরো মরসুমের জন্য রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৭১ লক্ষ ৯৮ হাজার কৃষক বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছে। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ নবান্নে(nabanna) এই প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কৃষি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এরমধ্যে ১২ লক্ষ ১৩ হাজার আলু চাষি নাম নথিভূক্ত করেছেন বলে কৃষি দফতর  সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য এই বছরই প্রথম রাজ্যে আলু এবং আখ চাষীদের এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। ফলে অন্যান্য চাষীদের সঙ্গে তারাও এখন থেকে কোন প্রিমিয়াম ছাড়াই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। আগামী অর্থ বছরের জন্য এই বিমা প্রকল্পে রাজ্য সরকার ১ হাজার ৩১৩ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে।  ২০১৯ সালে বাংলা শস্য বিমা প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাজ্যের এক কোটি ১২ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে মোট ৩ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে  ।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version