রক্ত দিলো কোকো, প্রাণ বাঁচল লিও-র! শহরে পোষ্যের সফল রক্তদান

হিমোগ্লোবিন (hemoglobin) ৩-এ নেমে যায়। নিয়ে আসা হয় প্রতীপ চক্রবর্তীর অ্যানিম্যাল হেলথ প্যাথোলজিকাল ল্যাবে। রক্ত দিতে এগিয়ে আসেন ঋষিকান্ত মুখোপাধ্যায়। তাঁর ১০ বছরের গোল্ডেন রিট্রিভর (golden retriever) কোকো

মাত্র দশমাসের লিও রক্তের জটিল রোগে আক্রান্ত। সন্তানসম পোষ্যের এরকম অসুস্থতায় অভিভাবকদের প্রায়ই দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়। তবে লিও-র মতো তাঁদেরও নিশ্চিন্ত হওয়ার দিন দেখালো শহরের পশু চিকিৎসাকেন্দ্র। সারমেয় লিও-র জীবন বাঁচাতে রক্ত দিলো আরেক সারমেয় কোকো। পোষ্যদের রক্তদানের অভিনব উদ্যোগ নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। দুই পোষ্যের সুস্থতাও কামনা করলেন তিনি।

সত্যজিৎ বিদ্যার্থীর ১০ মাস বয়সী পুরুষ ডোবারম্যান (Doberman) লিও জটিল রোগে আক্রান্ত। তার জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন ছিল। তার হিমোগ্লোবিন (hemoglobin) ৩-এ নেমে যায়। নিয়ে আসা হয় প্রতীপ চক্রবর্তীর অ্যানিম্যাল হেলথ প্যাথোলজিকাল ল্যাবে। রক্ত দিতে এগিয়ে আসেন ঋষিকান্ত মুখোপাধ্যায়। তাঁর ১০ বছরের গোল্ডেন রিট্রিভর (golden retriever) কোকো রক্তদান করে প্রাথমিক সুস্থতায় লিও-কে পথ দেখায়।

কোকোর রক্ত পেয়ে খানিকটা সুস্থ লিও। যদিও তার এখনও ডায়ালিসিস, কেমোথেরাপির প্রয়োজন। সম্পূর্ণ চিকিৎসা হবে এই পশু চিকিৎসাকেন্দ্রেই। আর্ত মানুষের প্রাণ বাঁচাতে রক্তদানে বারবার শহরের মানবিক মুখ দেখা যায়। তবে পোষ্যের জন্য এমন সুযোগ পাওয়া অনেক সময়ই উপযুক্ত পশু চিকিৎসাকেন্দ্র ও মানবিক পোষ্য অভিভাবকদের অভাবে সম্ভব হয় না। এবার সেই পথ দেখাচ্ছে অ্যানিম্যাল হেলথ প্যাথোলজিকাল ল্যাব (Animal Health Pathological Lab)। রক্তদান সফল হওয়ার পর কুণাল ঘোষ দুই সারমেয় ও তাদের চিকিৎসাকেন্দ্রের উদ্দেশে লেখেন, পোষ্যদের চিকিৎসার আধুনিক সব যন্ত্র বসিয়েছেন প্রতীপ। কিছুদিন আগেই এটির একটি শাখার উদ্বোধনে গিয়েছিলাম। সেই ইউনিট যে এত জটিল চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছে, জেনে একজন পোষ্যপ্রেমী হিসেবে ভালো লাগল। প্রতীপ এবং টিমকে শুভেচ্ছা। কোকোকে আদর। লিও সুস্থ থাকুক।