বাংলার ক্ষমতা দখলের দিবাস্বপ্ন দেখা রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে যে আদতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই ভরসা করে না, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিল অমিত শাহর (Amit Shah) দফতর। রাজ্য নেতৃত্বকে অন্ধকারে রেখে তুলে নেওয়া হল ৩২ নেতার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা (central security)। তার মধ্যে বর্তমান জেলা সভাপতি থেকে লোকসভার পরাজিত প্রার্থীরাও রয়েছেন। সংবাদ সংস্থার থেকে সেই খবর পেলেন রাজ্য নেতৃত্ব।

লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) আগে বাংলার হিংসার ভুয়ো ধুয়ো তুলতে নিজেদের সব প্রার্থীকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA)। বাংলার নামে সেই অপপ্রচারের কড়া জবাব বাংলার মানুষ ইভিএমে (EVM) দিয়েছেন। অগত্যা পরাজিত সেই সব প্রার্থীদের (candidate) নিরাপত্তা প্রত্যাহার করল বিজেপি। এর মধ্যে রয়েছেন বোলপুর, উলুবেড়িয়া, আরামবাগের প্রার্থী দেবাশিস ধর, অরুনউদয় পাল চৌধুরী, অরূপকান্তি দিগর। আবার রয়েছেন নদিয়ার বর্তমান জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস।

পুরোনো নতুন দ্বন্দ্বে জর্জরিত রাজ্য বিজেপি। নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই যে কোপে পড়তে হবে তার প্রমাণ সাম্প্রতিক তালিকায় জন বার্লার নিরাপত্তা প্রত্যাহার। রাজ্য নেতৃত্বের দাবি প্রতি তিন মাসে রিভিউ (review) করে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই রিভিউতে এবার নিরাপত্তা ছাঁটা হল সংবাদ মাধ্যমে গলা তোলা শঙ্কুদেব পণ্ডার।

নিরাপত্তা প্রত্যাহারের মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কার্যত বুঝিয়ে দিল তারা কাদের গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোণঠাসা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) নিরাপত্তায় কোপ না ফেলে দলে ফের তার জায়গা বোঝালেন শাহ। আবার ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা ছড়ানো লোকসভা প্রার্থী (candidate) তথা দক্ষিণ ২৪ পরগণার প্রাক্তন জেলা সভাপতি অভিজিৎ দাসের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।

–

–

–

–

–

–
