মৃতের অভিনয় করে বাঁচার চেষ্টা! ট্যাংরা কাণ্ডে ‘অভিশপ্ত’ দিনের বিবরণ নাবালকের

বাবা-কাকার হাত থেকে বাঁচতে মরে যাওয়ার অভিনয় করেছেন ট্যাংরার দে-বাড়ির নাবালক(minor boy of dey family opens up)! বৃহস্পতিবার রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের দুই সদস্যকে এমন কথাই জানিয়েছেন প্রসূন দে-র ছেলে। পাওনাদারদের হাত থেকে বাঁচতে পরিকল্পনামাফিক আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় প্রসূন- প্রণয়ের পরিবার। সেইমতো পায়েসে ওষুধ মিশিয়ে জীবন শেষ করার চেষ্টা হলেও কীভাবে বেঁচে গেলেন নাবালক। শিশু সুরক্ষা কমিশনকে অভিশপ্ত দিনের ঘটনাক্রম খুলে বললেন তিনি।

ট্যাংরার (Tangra) নাবালক জানিয়েছেন তাঁর বাবা ও কাকা যখন আত্মহত্যার পরিকল্পনা করছিলেন সেই সময় তিনি সবটা শুনতে পেয়ে যান। যেহেতু সে নিয়মিত জিম করে এবং শারীরিক কোনও সমস্যা নেই সে কারণে প্রাথমিকভাবে ওষুধ মেশানো পায়েসে মৃত্যু হয়নি। তবে ভয়ে ঘুম ভাঙ্গার পর দীর্ঘক্ষণ মরার অভিনয় করে পড়ে থাকেন নাবালক।সেই সময় মৃত্যু নিশ্চিত করতে কাকা প্রসূন ওই নাবালকের মুখে বালিশ চেপে ধরেন। এরপর প্রসূন- প্রণয় ছাদে গিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। নাবালক জানিয়েছেন, তাঁর বাবা এবং কাকা ঘর থেকে বেরোনোর পরই তিনি অন্য ঘরে গিয়ে মা কাকিমা আর বোনের মৃতদেহ দেখতে পান। তাঁর আক্ষেপ, যদি বড়রা আর্থিক সমস্যার কথা বিস্তারিত জানাতেন তাহলে তিনি হয়তো উপার্জনের অন্য কোন পথ খুঁজে বের করতে পারতেন। এভাবে সকলকে মর্মান্তিক পরিণতির সম্মুখীন হতে হতো না। আপাতত দে পরিবারের নাবালকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। প্রসূন দে-র শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে কথা বলে কিশোরকে সেখানে রাখা যায় কিনা তার চিন্তা ভাবনা করছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন।