ওয়াকফ বিলের নতুন খসড়ায় সিলমোহর মোদি মন্ত্রিসভার, সংসদে পেশ কবে?

ওয়াকফের সম্পত্তির উপর নিয়ন্ত্রণ করতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা হবে এই সংশোধনী আইনের মাধ্যমে

বিরোধী সদস্যদের আপত্তি উপেক্ষা করেই গত মাসে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের নতুন খসড়া অনুমোদন করেছিল যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি)। এ বার সেই খসড়ায় প্রস্তাবিত ১৪টি সংশোধনী কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মন্ত্রিসভায় শেষ বৈঠকে সিলমোহর দেওয়া হল সংশোধিত ওয়াকফ বিলে। যৌথ সংসদীয় কমিটির প্রস্তাবিত একাধিক সংশোধনের পর সেই বিলে অনুমোদন মোদির মন্ত্রিসভার। এখন প্রশ্ন কবে তা পেশ করা হবে সংসদে। জানা গিয়েছে, বিরোধীদের প্রস্তাবিত সংশোধনী রাখা হয়নি পরিবর্তিত বিলে। বরং বিজেপি ও এনডিএ জোটের সাংসদদের প্রস্তাব রাখা হয়েছে সংশোধনী বিলে। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনে পরিবর্তন আনাই নতুন সংশোধনী বিলের লক্ষ্য। ওয়াকফের সম্পত্তির উপর নিয়ন্ত্রণ করতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা হবে এই সংশোধনী আইনের মাধ্যমে।

বিজেপি সাংসদ জগদম্বিকা পালের নেতৃত্বাধীন জেপিসির বিজেপি সদস্যদের আনা ১৪টি সংশোধনী-সহ বিলটি সংসদে পেশ করার জন্য সরকারের কাছে জেপিসি সুপারিশ করেছে। ইতিমধ্যেই জেপিসির সেই রিপোর্ট সংসদে প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ছাড়পত্র মেলায় আগামী ১০ মার্চ বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে খসড়াটি বিল আকারে সংসদে পেশ করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

জানা গিয়েছে, সরকার পক্ষের তরফে ২৩ এবং বিরোধীদের তরফে ৪৪টি সংশোধনী প্রস্তাব জেপিসিতে জমা পড়েছিল। তার মধ্যে সরকার পক্ষের ১৪টি সংশোধনী ভোটাভুটির মাধ্যমে গৃহীত হয়েছে। সংসদের দুই কক্ষে পাশ হওয়ার পরে ওই বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মিললে ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনের নতুন নাম হবে ‘ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’।

তথ্য বলছে, ইসলামিক রীতি অনুযায়ী ওয়াকফ হল মুসলিমদের উন্নয়নের স্বার্থে তৈরি সম্পত্তি। সেসব সম্পত্তি বিক্রি বা অন্য কোনও উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার বিধি নেই। ওয়াকফ সম্পত্তির সিংহভাগই মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান ও অনাথ আশ্রম তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪-কে ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিসিয়েন্সি, ডেভেলপমেন্ট তথা ‘উমিদ'(UMEED) বিলে নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। সংশোধনী প্রস্তাবে যৌথ সংসদীয় কমিটি জানিয়েছে, ওয়াকফ সংশোধনী বিলের উদ্দেশ্য ওয়াকফ বোর্ডের কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি ও সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ।