টিবেটান প্লেট আর ভারতীয় প্লেটের সংঘর্ষে প্রতিদিন ভূমিকম্পের সম্মুখিন উত্তর ভারত। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ফের কেঁপে উঠলো নেপাল (Nepal), বিহার সংলগ্ন ভারতের বেশ কিছু এলাকা। এমনকি নেপালে মূল ভূমিকম্পের (earth quake) পরে ভারতের একাধিক জায়গায় আফটার শকে (after shock) একাধিক কম্পনের সম্ভাবনা দেখছেন ভূতত্ত্ববিদরা।

বৃহস্পতিবার রাত ২.৩৫ নাগাদ নেপালের (Nepal) রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৬৫ কিলোমিটার পূর্বে সিন্ধুপালচক এলাকায় তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের (earth quake) উৎসস্থল সিন্ধুপালচকের কোডারি এলাকায়। যেখানে রিক্টার স্কেলে (Richter scale) কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১-এর মত তীব্র।

নেপালের পাশাপাশি বিহারের পাটনা (Patna), বাংলার শিলিগুড়ি (Siliguri) এলাকাতেও মধ্যরাতে কম্পন অনুভূত হয়। তবে এই কম্পনের মাত্রা বিভিন্ন যন্ত্রে বিভিন্ন দেখা গিয়েছে। জার্মান ভূকম্প পরিমাপক যন্ত্রে (Richter scale) কম্পনের মাত্রা ৫.৬। আবার ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেসমোলজির যন্ত্রে কম্পনের মাত্রা ৫.৫।

নেপাল (Nepal) থেকে ভারতের গাঙ্গেয় উপত্যকা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় কম্পন অনুভব হওয়া এবং তার মাত্রা ৬.১ থেকে ৫.৫ পর্যন্ত হওয়ায় ভূতত্ত্ববিদদের অনুমান ভূমিকম্প বৃহস্পতিবার রাতে একবার নয়, বেশ কয়েকবার হয়েছে। ভূমিকম্পের উৎসস্থল নেপালে বহু বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। মধ্যরাতে বাসিন্দারা বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। প্রায় একই পরিস্থিতি বিহারের পাটনা সহ বেশ কিছু এলাকাতে। সেখানেও বাড়ি ও রাস্তায় ফাটল দেখা গিয়েছে।
–

–

–

–

–

–
