চলতি বছরেও ইপিএফও-র নতুন সুদের হার অপরিবর্তিত

২০২৪-২৫ এর জন্য EPF আমানতের সুদের হার সম্মতির জন্য অর্থ মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হবে।

EPFO-এর নতুন সুদের হার ঘোষণা করেছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন। শুক্রবার ২০২৪-২৫ এর জন্য EPF আমানতের ওপর ৮.২৫ শতাংশ সুদের হার বজায় রেখেছে সংগঠন। এদিন EPFO-এর সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ (CBT) রেট নির্ধারণের জন্য বৈঠক করে। সেখানে আগের রেটই বজায় রাখে EPFO । ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অবসর গ্রহণ তহবিল সংস্থাটি ২০২৩-২৪ এর জন্য EPF-তে সুদের হার সামান্য বাড়িয়ে ৮.২৫ শতাংশ করেছিল। যা ২০২২-২৩ সালে ৮.১৫ শতাংশ ছিল। এবার সুদের হার বৃদ্ধির কথা আশা করেছিল কর্মীরা। যদিও সেই আশা পূরণ হল না। ইপিএফও-র সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ  শুক্রবার তার বৈঠকে ২০২৪-২৫ এর জন্য ইপিএফ-এর উপর ৮.২৫ শতাংশ সুদের হার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপাতত CBT-এর সিদ্ধান্তের পরে, ২০২৪-২৫ এর জন্য EPF আমানতের সুদের হার সম্মতির জন্য অর্থ মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হবে।

বর্তমান EPF আমানতের সুদের হার ২০১৫-১৬ সালের EPF জমার হারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। সেই সময় এটি ছিল ৮.৮ শতাংশ। এর পরে EPFO ​​ধীরে ধীরে তার কোটি গ্রাহকদের জন্য EPF জমার হার কমিয়েছে। কোভিড মহামারী চলাকালীন EPF জমার হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে EPFO ​​প্রভিডেন্ট ফান্ড ডিপোজিটের উপর সুদের হার কমিয়ে ২০১৯-২০ এর জন্য ৮.৫ শতাংশ করছিল। যা সাত বছরের সর্বনিম্ন। যা ২০১৮-১৯ এর জন্য প্রদত্ত ৮.৬৫ শতাংশ থেকে কম। EPFO তার গ্রাহকদের ২০১৬-১৭ সালে ৮.৬৫ শতাংশ ও ২০১৭-১৮ সালে ৮.৫৫ শতাংশ সুদের হার দিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে যাদের বেতন প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা বা তার বেশি, তাহলে এই স্কিমের আওতায় নাম লেখানো বাধ্যতামূলক। এতে কোম্পানি বেতন থেকে একটি অংশ কেটে নেয় এবং ইপিএফও অ্যাকাউন্টে সেই টাকা জমা পড়ে। এই সম পরিমাণ অর্থ কোম্পানির তরফ থেকেও জমা করা হয়। কর্মচারীদের বেসিক পে এবং ডিএ-র ১২ শতাংশ পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা হয়। এর উপর, সংশ্লিষ্ট সংস্থাও একই অর্থ জমা করে কর্মচারীর পিএফ অ্যাকাউন্টে। কোম্পানির এই টাকার মধ্যে ৩.৬৭ শতাংশ ইপিএফ অ্যাকাউন্টে যায়, বাকি ৮.৩৩ শতাংশ পেনশন স্কিমে যায়।

১৫ জানুয়ারি এই নতুন নির্দেশিকা ঘোষণা করেছে EPFO কর্তৃপক্ষ। যেখানে বলা হয়েছে, নতুন অফিসে যোগ দিলে প্রাক্তন ও বর্তমানের নিয়োগকর্তার কাছে আবেদন না করেই প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্য়াকাউন্ট ট্রান্সফার (PF Account Transfer) করা যাবে। তবে সবাই পাবে না এই সুবিধা।  এবার থেকে কর্মচারীরা নিজেরাই EPFO ​​পোর্টালের মাধ্যমে ব্যক্তিগত বিবরণ যেমন নাম, জন্মতারিখ, স্ত্রীর নাম, ম্যারেজ স্ট্যাটাস, ন্যাশানালিটি, জেন্ডার ও কর্মসংস্থানের তারিখগুলির ত্রুটি সংশোধন করতে পারবেন। তবে নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়া ট্রান্সফার করতে পারবেন না পিএফ অ্য়াকাউন্ট।