যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সুকান্ত সেতু থেকে প্রতিবাদ – ধিক্কার মিছিল তৃনমূলের। জনতার চাপে পিছু হটতে বাধ্য হল বামছাত্র সংগঠন। শনিবার অধ্যাপক সংগঠনের একটি আলোচনাসভায় অংশ নিতে গিয়ে এসএফআই-এর হামলার শিকার হন ব্রাত্য বসু। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক অধ্যাপককে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে বাম ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে। ভাঙা হয় মন্ত্রীর গাড়ির কাঁচ, এমনকি চাকার হাওয়া খুলে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এরপর সন্ধ্যা নামতেই যাদবপুরের আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা রাস্তা অবরোধ করেন। তাতে যাদবপুর-ঢাকুরিয়া ও গড়িয়া-গড়িয়াহাটের রাস্তা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। পথচারীরা আটকে পড়েন। দীর্ঘক্ষণ এই অবস্থা চলতে থাকায় বাস- গাড়ি থেকে নেমে অবরোধের প্রতিবাদ করেন জনতা। পিছু হটতে বাধ্য হয় SFI। তুলে নেয় অবরোধ। এরপর শিক্ষামন্ত্রীর উপর বর্বরোচিত আক্রমণের প্রতিবাদে সুকান্ত সেতু থেকে ধিক্কার মিছিল শুরু করে তৃণমূল। নেতৃত্বে সাংসদ সায়নী ঘোষ, বিধায়ক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)। মিছিলে দলীয় কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি অসংখ্য সাধারণ মানুষ যোগ দিয়েছেন।

এদিন অরূপ বলেন, শিক্ষামন্ত্রীকে যেভাবে নিগৃহীত হতে হয়েছে, অধ্যাপকদের যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে তা কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না। যারা একাজ করেন তাঁরা গুণ্ডা। তাঁর কথায়, “আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক তাই আমরা সহনশীলতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, মাও-মাকুদের বলতে চাই, অশান্ত কোরো না। আমাদের প্রতিবাদ চলছে, চলবে। যাদবপুরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব। সেই প্রতিষ্ঠার লড়াই চলবে। আগুন নিয়ে খেলতে যাবেন না। মানুষই ওদের যাদবপুর ছাড়া করেছে।” অধ্যাপকদের গায়ে হাত দেওয়া গুন্ডাদের বিরুদ্ধে তৃণমূল আজ রাস্তায় নেমেছে। এই মিছিলেও SFI গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করলে সায়নী বলেন “শান্ত যাদবপুরকে অশান্ত করতে চাইছে এরা। কিন্তু এসব করে লাভ নেই। শান্ত বাংলাকে কোনওভাবে অশান্ত করা যাবে না। আমরা রুখে দাঁড়াব। আর ছাব্বিশের ভোটে বড় খেলা হবে। কেউ প্ররোচনায় পা দেবেন না।”

আরও পড়ুন- তেলঙ্গানার সুড়ঙ্গ ধস: ৭ দিন পর খোঁজ মিলল ৪ শ্রমিকের অবস্থান

_
_

_

_

_

_

_

_
